গাইনোকোমাসিয়া কী, কেন হয়?
সাধারণত পুরুষদের স্তন বড় হওয়ার সমস্যাকে গাইনোকোমাসিয়া বলে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১২০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তানভীর আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গাইনোকোমাসিয়া বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তর : এটি স্তন সম্পর্কিত একটি সমস্যা। স্তন সম্পর্কিত কথা হলে সাধারণত স্তন ক্যানসার নিয়ে বেশি আলোচনা চলে আসছে। পাশাপাশি পুরুষের স্তনে কিন্তু অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। এর মধ্যে গাইনোকোমাসিয়া একটি। এর একটি বয়স রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যারা তরুণ, ১৮ বছর থেকে শুরু করে, অনেক সময় ১৪ বছর থেকেও শুরু হয়। এই সময়গুলোতে পুরুষদের স্তন, হঠাৎ করে কারো একটি বা কারো দুটো আস্তে আস্তে বড় হওয়া শুরু করে। একে আসলে গাইনোকোমাসিয়া বলা হয়।
এই গাইনোকোমাসিয়ার যদি আমরা কারণ বের করি, ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে আমরা কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানি না। আর একে বলা হয় ইডিওপ্যাথিক গাইনোকোমাসিয়া। আর বাকি পাঁচ ভাগ যেটি থাকে, তার জন্য আমরা আসলে সার্চ করি। অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে প্রচলিত কিছু বিষয় রয়েছে, কিছু ওষুধ রয়েছে। আমরা যে সেবন করি সেগুলো থেকে গাইনোকোমাসিয়া হতে পারে। যেমন রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজলের কিছু দল রয়েছে, সেগুলো খেলে হতে পারে। কিছু উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ রয়েছে, এরপর কিছু হরমোনাল ট্যাবলেট রয়েছে। আবার কিছু নেশা জাতীয় ওষুধ যেগুলো খাওয়া হয়, এগুলো থেকে গাইনোকোমাসিয়া হতে পারে।
আরেকটি জিনিস, আমাদের জিম হচ্ছে, বডি বিল্ডিংয়ের পরে কিছু বাড়তি প্রোটিন, তারা নিচ্ছেন, সেগুলো কিন্তু অনেক সময় গাইনোকোমাসিয়ার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এগুলো প্রচলিত। অনেকের অণ্ডকোষের বৃদ্ধি যদি ভালো না হয়, অথবা তার কিছু হরমোন রয়েছে যে বাড়তিভাবে তৈরি হতে পারে। অথবা লিভারের কিছু এনজাইম থাকে বা এই সম্পর্কিত শরীরে আরো কিছু গ্রন্থির নিঃসরণ থাকে,সেগুলোর যদি তারতম্য হয়, সেক্ষেত্রে গাইনোকোমাসিয়া হতে পারে। সেগুলোকে নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করি। তবে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে আমরা কোনো কারণ খুঁজে পাই না।