মাথা বড় হওয়ার সমস্যাকে আমরা হাইড্রোক্যাফালাস বলি। আমাদের মস্তিষ্কের এক ধরনের তরল রস তৈরি হয়। একে সিএসএফ বলে। এটি দিনে চারশ এমএলের মতো তৈরি হয়। তবে মস্তিষ্ক ধারণ করে দেড়শ এমএলের মতো। মস্তিষ্কের চলার পথ দিয়ে এটি বের হয়ে যায়। যদি বের হতে না পারে, তাহলে তরল জমতে থাকে। এতে মাথা বড় হয়ে যায়। একে হাইড্রোক্যাফালাস বলে।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৫৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ধীমান চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। 

প্রশ্ন : হাইড্রোক্যাফালাস হয় কেন?

উত্তর : সেটা নির্দিষ্ট কারণে হতে পারে। বয়স্কদের মস্তিষ্কে যদি কোনো সংক্রমণ হয়, যেমন ম্যানিনজাইটিস। কোনো আঘাত হলো, আঘাতের বেশ কিছুদিন পর হাইড্রোক্যাফালাস ধরা পড়তে পারে। আঘাতের ধারাবাহিকতায় এটি তৈরি হয়। যাওয়ার যেই পথ একে বন্ধ করে দেয়। অথবা টিউমার যদি হয়, মস্তিষ্কের টিউমারের সঙ্গে হাইড্রোক্যাফালাস আমরা অনেক সময় দেখি।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় বা জন্মের পর হাইড্রোক্যাফালাস হতে পারে। এখনকার দিনে সিজারিয়ান সেকশন খুব বেশি ব্যবহৃত হওয়ার কারণে আমরা ডেলিভারি করে ফেলতে পারি। পরে আলট্রাসাউন্ড করে বুঝি বাচ্চার হাইড্রোক্যাফালাস হয়েছে। জন্মের পরও যদি তার নিউনেটাল ইনফেকশন হয়, বুকের ইনফেকশন হয়, তার ধারাবাহিকতায় এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এটিও হাইড্রোক্যাফালাস তৈরি করতে পারে। অথবা কিছু জন্মগত টিউমার তৈরি হয়, এটি থেকে সমস্যা হতে পারে।