বিশ্ব ডিম দিবস
কেন ডিম খাবেন?
আজ বিশ্ব ডিম দিবস। ডিম খাওয়ার অনেক ভালো দিক রয়েছে। সারা বিশ্বেই সকালবেলার নাশতায় ডিম খাওয়ার কথা বলা হয়। অনেক নিরামিষভোজীও ডিমকে নন-ভেজিটারিয়ান খাবার হিসেবে মনে করেন না। ডিমের মধ্যে ভরপুর রয়েছে প্রোটিন। আর অন্যান্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় এর দামও কম।
ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
অ্যামাইনো এসিড
ডিম অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৫, বি১২, বি৬, ডি, ই, কে, ফোলেট, ফসফরাস, সেলিনিয়াম, ক্যালিয়াম ও জিংক। প্রতিটি ডিমের মধ্যে রয়েছে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। তাই বডিবিল্ডার্সরা প্রতিদিন ডিম খান।
কোলিন
কোলিন কোষের মেমব্রেন তৈরিতে সাহায্য করে। বেশিরভাগই খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলিন রাখে না। ডিমে যেহেতু ভালো পরিমাণ কোলিন রয়েছে, তাই এটি নিয়মিত খাওয়া ভালো।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ডিমের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লুটেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি চোখের জন্য ভালো। এ ছাড়া এটি ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ভালো চর্বি
ডিমের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ভালো চর্বি। অনেকে ভাবেন, সব চর্বিই খারাপ। তবে কথাটি সঠিক নয়। স্বাস্থ্যকর চর্বিও রয়েছে। এটি শরীরের জন্য ভালো।
প্রতিদিন ডিম খাওয়া ভালো বলে পরামর্শ দেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিদিন ডিম খেতে মানা করা হয় বা ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করা হয়।
ডিম তো খাবেনই, তবে প্রতিদিন ডিম খাবেন কি না বা কতটুকু পরিমাণ খাবেন, এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।