দায়িত্ব বেড়েছে, তাই বেছে কাজ করবেন ডা. এজাজ
‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অভিনয়-জীবনে বেশ জনপ্রিয় হলেও ডাক্তার হিসেবেও একটি আলাদা পরিচয় রয়েছে তাঁর। বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় আরেকটি সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। যার কথা বলছি, তিনি ডা. এজাজুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে ডা. এজাজ বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে আমি এক বছর আগে যোগদান করি। এখন পদোন্নতি হয়ে এই পোস্টটি পেয়েছি।’
নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরমাণু শক্তি কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে একটি বিভাগ। রোগীদের সুবিধার্থে এই বিভাগ সব মেডিকেল কলেজের সঙ্গে লাগানো। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এখন আলাদা করে নিউক্লিয়ার বিভাগ চালু করা হয়েছে।
নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের জন্য এখন জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন বিল্ডিংয়ে। আর ৬ তারিখ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। আমরা এখন এটি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। সবাই এটি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি, যেন কোনো ধরনের দুর্নাম না হয়।
আমরা বর্তমানে খুই সন্ত্রস্ত ও সাবধান থেকে কাজটি করছি। আশা করছি, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে হবে। এ কারণে ১০ তারিখ পর্যন্ত আমরা ব্যস্ত থাকব। এরপর বরাদ্দকৃত জায়গাটা ঠিক করব। এর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই সেক্টরটিকে যেভাবে যতটুকু উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করব।’
ডা. এজাজ আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এই বিভাগ যেহেতু একেবারে নতুন, তাই আমরা কাজ শুরু করলাম কেবল। যত বেশি নিউক্লিয়ার মেডিসিন প্রসারিত হবে, তত বেশি রোগীরা উপকৃত হবে—এ রকম একটি চিন্তা নিয়ে আমরা শুরু করলাম। এ বিষয়টিকে আরো প্রসারিত হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাব। রোগীদের মঙ্গলের জন্য, চিকিৎসা-শিক্ষাব্যবস্থার মঙ্গলের জন্য আমরা কাজ করে যাব।’
অভিনয় ও চিকিৎসা পেশাকে একত্রে কীভাবে এগিয়ে নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. এজাজ জানালেন, দায়িত্ব যেহেতু বেড়েছে, তাই কাজটাও এখন বেছে বেছে করবেন। তিনি বলেন, ‘কাজের পাশাপাশি অভিনয় করব। তবে একটু বেছে বেছে করব।’