ব্যায়ামে আলসেমি লাগলে যা করবেন
ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো; এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমায়-ব্যায়ামের এ রকম উপকারের কথা আমরা অনেক শুনে থাকি। তবে আসলেই কি নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারি? আলসেমি করে ব্যায়াম না করার জন্য অনেক অজুহাতই দাঁড় করাই। যদি তাই হয় তবে নিচে দেওয়া হলো কিছু পরামর্শ যা অলস মনের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে আপনাকে। লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্ট দিয়েছে এসব পরামর্শ।
যা ভালোবাসেন তাই করুন
জীবনযাপনের ভেতর ব্যায়ামকে প্রাত্যহিক অভ্যাসে পরিণত করতে হলে আগে ভাবুন আপনার কী করতে ভালো লাগে। কোনো ধরনের শারীরিক কাজ করতে আপনার আলসেমি লাগবে না- সেই কাজটি ঢুকিয়ে দেন ব্যায়ামের ভেতর, যেন মনে না হয় যে ব্যায়াম করছেন। আপনি যদি খেলাধুলা পছন্দ করেন তাহলে সেটিই নিয়মিত করুন এবং সেখানেই আপনার ফিটনেসের ব্যায়াম হয়ে যাবে।
সময় নির্ধারণ করুন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা সকালে উঠেই কাজে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা সাধারণত সকাল সকাল ব্যায়াম করতে চান না, কারণ এতে সময়ের টানাটানি পড়ে যায়। তাঁদের জন্য দিনের শেষ সময়টাই উত্তম ব্যায়ামের জন্য। আর আপনার যদি অভ্যাস না থাকে সকালে ওঠার, তাহলে দিনের যে কোনো ভাগেই ব্যায়াম করতে পারেন। দুপুর থেকে যদি আপনার দিন শুরু হয়, তাহলে লাঞ্চটাইমে ব্যায়ামের জন্য সময় রাখতে পারেন।
অন্য নামে ডাকুন
যদি ব্যায়াম করতে না পারেন তবে ঘরের কোনো কঠিন কাজ করুন। ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কায়িক পরিশ্রম করে নিজেকে সচল রাখার চেষ্টা করুন। ঘরদোর পরিষ্কার করুন, কাপড় কাচুন, গাড়ি পরিষ্কার করুন, বাগানে কাজ করুন-এর ফলে আপনার দুই লক্ষ্যই অর্জিত হবে। ঘরের কাজ হবে, ব্যায়ামও হবে।
যদি ঘেমে স্নান না করতে চান
আপনি যদি ভারী ব্যায়াম করে আপনার টিশার্ট ভেজাতে না চান তাহলে একটু হাল্কা ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। যোগব্যায়াম, তাই-চাই, অথবা পিল্যাট- যেগুলো হাল্কা ব্যায়াম, যেগুলো করলে আপনি ঘেমে নেয়ে যাবেন না সেগুলো করতে পারেন। বিভিন্ন জিমে এসব হাল্কা ব্যায়াম করানো হয়।
দল বেঁধে ব্যায়াম
নিজে নিজে ব্যায়াম করলে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে আগ্রহ হারিয়ে যেতে পারে। তাই কয়েকজন মিলে ব্যায়াম করুন। প্রতিবেশী বা ব্ন্ধু কাউকে অনুরোধ করুন আপনার সঙ্গে ব্যায়াম করতে। তাঁকে ব্যায়ামের সুফলগুলো বলে এ বিষয়ে আগ্রহী করে তুলুন।
বিশেষজ্ঞের কাছে প্রশিক্ষণ নিন
একজন ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞের কাছে প্রশিক্ষণ নিন। সে আপনাকে লক্ষ্য তৈরি করতে সাহায্য করবে। ব্যক্তিগত ফিটসেন প্রোগ্রাম তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং চ্যালেঞ্জিং ফিটনেসের রুটিন মেনে চলতে সাহায্য করবে।
ক্লাবে যোগ দিন
নিয়মিত সচল থেকে ফিট থাকার জন্য বিভিন্ন ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। দৌড়ানো, হাঁটা, হাইকিং, বাইকিং বা টেনিস ক্লাবে যোগ দিন।
এই বিষয়গুলো পালন করে নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ফিট থাকুন।