চল্লিশের পর গর্ভধারণের যত সমস্যা
বর্তমান সময়ে ভেজাল খাদ্য গ্রহণ এবং পরিবেশদূষণের কারণে অধিকাংশ গর্ভধারণই ঝুঁকিপ্রবণ; অধিকাংশ সন্তানসম্ভবা নারীই উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা আক্রান্ত হন। বলা হয় বেশি বয়সে গর্ভধারণে কিছু বাড়তি ঝুঁকি থাকে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে ৪০ বছরের পর গর্ভধারণে ঝুঁকির কথা।
প্রসবের অবস্থা
চল্লিশের পর গর্ভধারণের অন্যতম সমস্যা হলো প্রসবে জটিলতা। এর কারণে প্রি টার্ম লেবার পেইন বা বাচ্চার জন্মের নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসবের ব্যথা হতে পারে। এবং শিশুর জন্মও নির্দিষ্ট সময়ের আগে হতে পারে। তাই অবশ্যই দক্ষ হাতে এবং ভালো চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে প্রসব করানো উচিত।
ভ্রুণের পরিমাপ
চল্লিশের পর গর্ভধারণ হলে ভ্রুণ ত্রুটিপূর্ণ আকার ও ওজনের হতে পারে। পরিমাপটা হয়তো খুব ছোট হয় বা খুব বড় হয়। ভ্রূণের আকারের এই সমস্যা অনেক সময় হৃদরোগের কারণ হয়।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ অনেক নারীর ক্ষেত্রেই হলেও চল্লিশের পরে যাঁরা গর্ভধারণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বেশি হয়। তাই সন্তানসম্ভবা নারীর উচিত নিয়মিত তাদের রক্তচাপ পরীক্ষা করা। এবং সামান্য সমস্যাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
জেসটেশনাল ডায়াবেটিস
জেসটেশনাল ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থার একটি বড় সমস্যা। গর্ভধারণের পরে যদি কারো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তাকে জেসটেশনাল ডায়াবেটিস বলা হয়। চল্লিশের পর গর্ভধারণ করলে এর ঝুঁকিও বেশি থাকে।
মিসক্যারেজ
চল্লিশের পর সন্তান ধারণ করলে শরীরের বিভিন্ন জটিলতার কারণে মিসক্যারেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জন্মগত অস্বাভাবিকতা
এ বয়সে সন্তান ধারণ করলে শিশুর জন্মগত অস্বাভাবিকতা হতে পারে। বিশেষত মানসিক প্রতিবন্ধকতা, অটিজম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রি একলামসিয়া
এ বয়সে সন্তান ধারণ করলে নারীর প্রি একলামসিয়া (উচ্চ রক্তচাপের মধ্যে যখন প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যায়) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে খিঁচুনি হতে পারে, যা অত্যন্ত জটিল। তাই গর্ভবতী নারীর নিয়মিত চেকআপে থাকা প্রয়োজন।
জন্মদান কঠিন হয়ে যায়
যেসব নারী চল্লিশের পর গর্ভধারণ করেন, তাঁদের প্রসবকালীন ব্যথা দীর্ঘায়িত হয়। এর ফলে জন্মদান উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
প্রসবের পর জটিলতা
সন্তান প্রসবের পর মায়ের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে। যেমন : কার্ডিওমায়োপ্যাথি। এই রোগে হৃৎপিণ্ডের পেশি অস্বাভাবিক হয়ে যায়; এটি হার্ট ফেইলিউরের অন্যতম কারণ।