শীতে শিশু ও প্রবীণদের অ্যাজমার সমস্যা বেশি হয়
শীত মানেই ঠাণ্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের প্রকোপ। এ সময় কম-বেশি সবাই এসব সমস্যায় ভুগলেও শিশু ও প্রবীণরা যেন একটু বেশিই ভোগে। আর এ জন্য তাদের কম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দায়ী।
সাধারণত শীতে শ্বাসকষ্ট কম হলে বুঝতে হবে এটি ফ্লুর কারণে হয়েছে। আর বেশি হলে ধরে নেওয়া হয় এটি ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত শ্বাসকষ্ট।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এস এম রাশেদ উল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৩০তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : এর ব্যবস্থাপনা কীভাবে করেন?
উত্তর : শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রকাশ করবে সর্দি-কাশির মাধ্যমে। বাসার নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই কিন্তু সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায়। তবে যদি জ্বর থাকে, শ্বাসকষ্ট থাকে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।
তবে শ্বাসকষ্টের ধরন চিন্তা করতে হবে। যদি দেখি শ্বাসকষ্ট আস্তে আস্তে বাড়ছে, তাহলে আমরা মনে করতে পারি, এটি প্রচলিত ফ্লু। আর যদি দেখি হঠাৎ করে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ অনেক দ্রুত বেড়ে গেছে এবং খারাপ হয়ে যাচ্ছে, মনে করতে পারি যে এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বয়সভেদে কিছু ভিন্নতা রয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চা ও ৬৫ বছরের উপরে যে প্রবীণ রয়েছে তারা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, একিউট ব্রঙ্কিউলাইটিস। এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রবীণদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
এ ছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক বা অন্য বয়সের যে মানুষ রয়েছে, তাদের মধ্যে কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে এগুলো ভালো হয়ে যায়।