শিশু ঠাণ্ডা-কাশিতে কাবু? জেনে নিন সমাধানের উপায়
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম থাকে। শীতকালে ঠাণ্ডা-জ্বর, কাশি, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি ঝরার মতো রোগে শিশু সহজেই কাবু হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা।
ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বর্তমানে বারডেম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ৩৬৫৬তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।
প্রশ্ন : শীতকালে সর্দি-কাশি থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
উত্তর : একটি মানুষের নাকের ভেতর যদি কোনো কিছু ঢোকে, আমরা যদি কোনো মানুষের নাকের ভেতর তুলা ঢুকিয়ে দিই, সে হাঁচি দিতে থাকবে। ধুলা ঢুকে যাক, হাঁচি দিতে থাকবে। ঠিক একইভাবে ভাইরাল ইনফেকশন হলে, নাকের ভেতর প্রচুর নিঃসরণ হয়। নাকের যে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঝিল্লি রয়েছে, সেখানে সিলিয়া থাকে, এখানে বিব্রত করলে নাক চেষ্টা করে সেখান থেকে এগুলো সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বের করে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র হলো, হাঁচি দেওয়া। এ জন্য আমাদের নাককে পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন হলে, প্রথম অবস্থায় এটি পানি পানি থাকে। এখন এটি কমানোর জন্য অ্যান্টি হিস্টামিন ওষুধ দেওয়া হয়। দিলে পানি পানি বিষয়টি থাকে না। জমাট বেঁধে যায়। পরে নাক বন্ধ থাকে। ঘুমাতে পরে না। সারা রাত ছটফট করে।
এ ক্ষেত্রে গরম পানি পানের অভ্যাস করানো যেতে পারে। লেবু চা খাওয়ালে ভালো। এতে ইরিটেশন কমে যায়। গলা প্রশমিত হয়। খেয়াল করতে হবে, দুনিয়াতে কাশির কিন্তু কোনো ওষুধ নেই।
একটি মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো, কাশি দেওয়া। আমরা ওষুধ দিয়ে, কিন্তু কাশি বন্ধ করে রাখি। এটি ঠিক নয়। আরেকটি হলো, ভিটামিন ‘সি’ খাওয়া। ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার খেলে সুফল পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, কমলা লেবু।
দেখতে হবে, বাচ্চার জ্বর আসছে কি না। বাচ্চার কাশি থেকে শ্লেষ্মার মতো আসছে কি না। এরপর তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না। এসব খেয়াল করতে হবে।