মাশরুম খান, প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করুন
উদ্ভিজ প্রোটিনের মধ্যে মাশরুম অন্যতম। যাঁরা ভেগান বা অ্যানিমেল প্রোটিন খেতে চান না বা কোনো কারণে তাঁদের সমস্যা হয়, তাঁরা প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য অনায়াসে মাশরুম খেতে পারেন।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, মাশরুম অনেক ভাবে খাওয়া যায়। রান্না করেও খেতে পারেন বা কাঁচাও খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে মাশরুমের অনেক প্রজাতি আছে। সব ধরনের মাশরুম আমাদের শরীরের উপযোগী নয়।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, মাশরুমে নায়াসিন আছে, মানে ভিটামিন বি, যেটা আমাদের শরীরের হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি করে এবং আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টকে হেল্প করে। এ ছাড়া এতে প্রচুর ফাইবার আছে, হাই-ফাইবার, যেগুলো আমাদের ওজন কমাতে এবং আমাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও হজমে সমস্যা আছে, তাদের জন্য খুব সহজেই এই মাশরুম ডায়েটের মাধ্যমে প্রবলেমগুলো সলভ করতে পারি। এ ছাড়া গুড কোলেস্টেরল যেটা আছে, সেটা বজায় রেখে ব্যাড কোলেস্টেরলটাকে কমাতে সাহায্য করে মাশরুম। আরও খেয়াল রাখতে হবে যে কী পরিমাণ মাশরুম আমরা খেতে পারি। যে খাবারটা ভালো, সেটা বেশি পরিমাণে খেলেও কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ হয়। তাই পরিমাণমতো খাবেন। প্রতিদিন আমরা ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম মাশরুম খেতেই পারি। তবে এর বেশি নয়।
আর কোন সময়টাতে খাবেন? আমরা বলি, সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত আপনারা হাই-ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। সন্ধ্যার পরে যদি হাই-ফাইবার খাবারগুলো খান, মাশরুমজাতীয়, তাহলে যেটা হবে, আপনার অ্যাসিডিটির প্রবলেম হতে পারে, গ্যাসের প্রবলেম হতে পারে। আর যাদের অলরেডি গ্যাসের প্রবলেম আছে, তাদের পেট ফোলা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি প্রবলেম হতে পারে। এটা কিন্তু খাবারের সমস্যা নয়, খাওয়ার টাইমের সমস্যা। তাই ভালো খাবার সময়মতো, সঠিক উপায়ে যদি আমরা খাই, তাহলে অবশ্যই আমরা ভালো থাকব, সুস্থ থাকব।