ব্রণের দাগ থেকে রেহাই চান? খোঁটানো বন্ধ করুন
ব্রণ সাধারণ সমস্যা হলেও কখনো কখনো এটি জটিল আকার ধারণ করে। ব্রণ চলে গেলেও দাগ-গর্ত থেকে যায়।
ব্রণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত স্কিন স্কয়ারের চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৬৬তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচার হয়।
প্রশ্ন : ব্রণ খুব সাধারণ বিষয়। তবে অনেক সময় এই সাধারণ বিষয়টি তীব্র আকার ধারণ করে। তখনই বেশ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ব্রণকে আপনি কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন? কী কী ধরন রয়েছে এর?
উত্তর : ব্রণ একটি বিশেষ রোগ। এটি আমাদের মুখে, পিঠে, বুকে হতে পারে। এটি হলে মানুষ অন্যের সামনে যেতে বিব্রত হয়। কারণ, এটি সহজে দেখা যায়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ হয়ে থাকে। তবে ব্রণ যে বয়ঃসন্ধিকালে সীমাবদ্ধ তা নয়, ১০ বছরের আগেও হতে পারে। এমনকি আট বছর থেকেও হতে পারে। আবার ওদিকে ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এই বিশেষ দলের মানুষের মধ্যে ব্রণ বেশি দেখা যায়। ছেলেমেয়ে উভয়েরই হয়, তবে মেয়েদের প্রবণতা বেশি। যে গ্রন্থির কথা বললাম, একে মেডিকেলের ভাষায় বলি এপোক্রাইন গ্রন্থি।
এই বয়সে বিশেষ কিছু হরমোন বেড়ে যায়। একনি গ্রন্থির ওপর প্রভাব তৈরি করে। সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ হয়। একে প্রোপিওনি একনি ব্যাকটেরিয়াম বলি। এই ব্যাকটেরিয়া যখন সংখ্যায় বেড়ে যায়, তখন গ্রন্থিটা ফুলে যায়। গোটার মতো হয়। পেকে যায় এবং সঙ্গে লাল রং ধারণ করে।
উপসর্গের মধ্যে ব্যথা হয়। পরে মুখের সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটায়। এই সময় তরুণরা মানুষের সামনে যেতে বিব্রত হয়। নিজেকে গুটিয়ে ফেলে।
প্রশ্ন : ব্রণ হলে অনেকে খোঁটায়। সেটি আসলে ক্ষতিগ্রস্ত করে কতখানি?
উত্তর : খোঁটানো অবশ্যই ক্ষতি করে। খোঁটালে দাগ তৈরি হয়। এ কারণে খোঁটানো মাত্রই দাগ তৈরির প্রবণতা থেকে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দাগগুলো বাড়তে থাকে। অনেকটা বসন্তের দাগের মতো গর্ত হয়ে যায়। তাই যেন ব্রণ না খোঁটায়, সে জন্য রোগীকে বলে দিই।
ব্রণ যদিও চিকিৎসাযোগ্য। তবে দাগের ক্ষেত্রে আমাদের কষ্ট পেতে হয়। কারণ, ব্রণ সেরে গেলেও দাগ থেকে যায়।