পিত্তথলির পাথর : কখন অস্ত্রোপচার করবেন?
পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসায় অস্ত্রোপচার করতে হয়। তবে এটি কখন করা হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৯৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. আকরাম হোসেন। বর্তমানে তিনি বিআরবি হসপিটালে সার্জারি বিভাগে জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রাথমিক অবস্থায় রোগীরা আসলে কী করেন?
উত্তর : তখন তো রোগী প্রচণ্ড অসুস্থ থাকে, বিশেষ করে তার পেটে, ডান দিকে ব্যথাটা হয়। ব্যথাটা ডান কাঁধের দিকে এবং পেছনের দিকে ছড়াতে পারে। প্রথমে তো ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি থাকে। এরপর হঠাৎ করে অনেক বমি হতে পারে। খাবারে রুচি কমে যেতে পারে এবং কিছু কিছু সময় জ্বরও হতে পারে। ডান দিকে পেটের ওপরের দিকে হয়তো সে হাত দিতে পারে না, তীব্র ব্যথা থাকে।
প্রশ্ন : রোগীটিকে তখন আপনারা কী করেন?
উত্তর : প্রত্যেক রোগীকেই তখন একইভাবে যাচাই করা হয়। প্রথমে তাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, যাকে বলা হয় ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন। তার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে কি না দেখা, তার জন্ডিস রয়েছে কি না দেখা। ব্যথাটা কোথায় জানা হয়। পেটের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে। পিত্তথলির পাথরের ক্ষেত্রে ওপরের দিকে ডান পাশে ব্যথাটা হয়। এটা সন্দেহ হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
যদি তীব্রব্যথায় ভোগে তাহলে তাকে ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়। ব্যথানাশক একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। তাকে কিছু সময় না খেয়ে থাকতে বলা হয়। স্যালাইন দিতে হয়।
প্রশ্ন : অস্ত্রোপচারের পরামর্শ কখন দেন?
উত্তর : পিত্তথলির পাথর যদি নিরব থাকে, এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ব্যথা নেই, তাদের জন্য অস্ত্রোপচার করাটা খুব জরুরি নয়। একটু দেরি করতে পারে। তার সুযোগ- সুবিধা অনুযায়ী এক সময় অস্ত্রোপচার করে নিতে পারে। আর যাদের জটিলতা হয়, তাদের ক্ষেত্রে দ্রুত সার্জারির পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন : জটিলতাগুলো কী হয়?
উত্তর : যখন প্রদাহ হয়, তখন জরুরি অবস্থা। আরেকটি অবস্থা হতে পারে যে পিত্তথলি পুঁজে ভরে গেছে। তখন বলা হয়, এমপইমা সিস্টিস। এটি হতে পারে যে পিত্তরসটা চলে গেছে, শুধু পড়ে রয়েছে মিউসিন জাতীয় এমপাইমা সিস্টিস। এই সময় পিত্তরসটা আস্তে আস্তে লিভারে চলে গেছে। এই ধরনের জটিলতা হলে রোগীটিকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়।