জরায়ুর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বিষয়টি কী?
জরায়ুতে রক্তক্ষরণ দুই ধরনের। স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক। বিভিন্ন রোগের কারণে জরায়ুতে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়। জরায়ুর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বিষয়টি কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৩৪তম পর্বে কথা বলেছেন
ডা. বেনজীর হক। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : জরায়ুর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ কী?
উত্তর : জরায়ুর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা অ্যাবনরমাল ইউটেরাইন ব্লিডিং নিয়ে কথা বলতে গেলে শুরুতে স্বাভাবিক রক্তপাত নিয়ে কথা বলতে হবে। তাহলে সবার জন্য বুঝতে সুবিধা হবে।
একজন মেয়ে যখন সুস্থ থাকে, তখন দেখা যায়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়। জরায়ু থেকে পাঁচ-সাত দিন পর্যন্ত রক্তক্ষরণ হবে। ৫০ থেকে ৮০ মিলিলিটার হয়। অল্প ব্যথা হতে পারে। একে বলি স্বাভাবিক রক্তপাত।
এই স্বাভাবিক রক্তপাতে যদি অস্বাভাবিক কিছু দেখা যায়, তাকে সাধারণত আমরা অ্যাবনরমাল ইউটেরাইন ব্লিডিং বলি। যেমন কারো ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে যদি অনেক রক্ত যায়, ৫০ থেকে ৮০ মিলিলিটারের বেশি যদি যায়, তাহলে সেটি অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। কিংবা প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে, সে তার দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না, একে আমরা ডিসমেনোরিয়া বলি। এটি হলে সেটিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক। এরপর যদি দেখা যায় সেই রক্তপাত পাঁচ থেকে সাত দিন না হয়ে মাত্র একদিন হচ্ছে কিংবা ১০ থেকে ১২ দিন হচ্ছে, সেটিও অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। সাধারণত ২১ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ঋতুস্রাব হয়। একে স্বাভাবিক বলি। কিন্তু কারো যদি ২১ দিনের আগেই আবার হয় বা দ্বিতীয় চক্র ৩৫ দিনের পরে হয়, একে আমরা অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বলি।