মলা মাছ কারা খাবেন, কারা খাবেন না
আমাদের দেশে মিঠা পানির যে মাছগুলো পাওয়া যায়, তার মধ্যে মলা মাছ একটি। মলা মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে মলা মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে মলা মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ফারাহ দীবা। তিনি বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম মলা মাছ থেকে আমরা ১০৮ কিলোক্যালোরি শক্তি পেয়ে থাকি। এর থেকে আমরা ৭৭ ভাগ জলীয় অংশ পাই। আর এর মধ্যে ১৭.১ গ্রাম প্রোটিন আছে। ফ্যাট আছে ৪.৪ গ্রাম। ক্যালসিয়াম আছে ৭৬৭ মিলিগ্রাম। আয়রন আছে ৩.৮ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া এতে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস বিদ্যমান।
পুষ্টিবিদ ফারাহ দীবা বলেন, মাছের মধ্যে যে টিস্যুগুলো আছে, কানেকটিভ টিস্যুগুলো, সেগুলো খুব ছোট ছোট থাকে। তাই যখন রান্না হয়, এগুলো খুব নরম হয়ে যায়। এর মধ্যে কানেকটিভ টিস্যুগুলো জিলেটিনে পরিণত হয়ে যায়। আর এটি সহজে আমরা গ্রহণ করতে পারি। খুব সহজে এটি ডায়জেস্ট হতে পারে। তাই মাছের প্রোটিন কিন্তু আমাদের শরীরে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাবজর্ব হয় এবং শিশুদের জন্য মাছের প্রোটিন খুব উপকারী। মাছের মধ্যে যে প্রোটিন আছে, সেটি শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুবই উপকারী। আর মাছের মধ্যে যেহেতু আমরা ক্যালসিয়াম পাই, দুধের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম আমরা মাছ থেকেও পেতে পারি।
পুষ্টিবিদ ফারাহ দীবার পরামর্শ, কিছু কিছু রোগ যেমন, ইউরিক অ্যাসিড যদি কারও বেশি থাকে, তখন তাদের কাঁটাসহ মাছ খাওয়া যাবে না। তাদের ছোট মাছ পরিহার করা উচিত। যদি আমরা মাছের ফ্লেশটা নিই, মাছের প্রোটিনটা আমরা সেখান থেকে পাই। যাদের প্রোটিনের দরকার, তারা খুব সহজেই মাছ থেকে গ্রহণ করতে পারেন। মাছের প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য কার্যকর। তাই আমরা মাংসের প্রোটিনটা মাছ থেকে নিতে পারি।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলগুলোকে বের করতে সহায়তা করে। বাচ্চাদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট, বাচ্চাদের অন্য সব ডেভেলপমেন্টের জন্য ওমেগা থ্রি এবং বড়দের হার্ট ডিজিজের জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই উপকারী। তাই মাছের মাধ্যমে ওমেগা থ্রি আমরা প্রচুর পেতে পারি। যতটা সম্ভব মাছ যদি আমরা ভাপে রান্না করি, মানে কম তাপে কিন্তু অল্প সময়ে রান্না করি, মাছ সহজেই রান্না হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত উচ্চ তাপে, উচ্চ তেলযুক্ত, যদি আমরা ডিপ ফ্রাই করি, তাহলে মাছের যে ওমেগা থ্রি, সেটা কিন্তু তেলের সাথে চলে যায়। আমরা তখন সে উপকার পাই না। আমরা ওমেগা থ্রি-টা পাচ্ছি না। বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন।