দাঁত ক্ষয় হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন?
মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঠিকমতো বজায় না রাখা, দাঁতে খাদ্যকণা লেগে থাকা ইত্যাদি দাঁত ক্ষয়ের সম্ভাব্য কারণ। দাঁত ক্ষয়ের লক্ষণের বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আব্দুল মালেক।
বর্তমানে ডা. আব্দুল মালেক ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজের দন্ত্য সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ৩৬৬৭তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : দাঁতের ক্ষয় রোগের উপসর্গ কী?
উত্তর : কখন রোগী বুঝতে পারবে দাঁতের ক্ষয়রোগ হয়েছে? প্রথমে দাঁত সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। দাঁতের মাঝামাঝি যদি কেটে দেই, সবচেয়ে ওপরের অংশ হলো, এনামেল। এটা মানব দেহের সবচেয়ে সহজ অংশ। এটা একবার ক্ষয় হলে আর পূরণ হয় না। এনামেল ক্ষয় হলে রোগী তেমন কিছু বুঝতে পারে না। খাদ্যকণা লেগে থাকলে সে হয়তো টুথপিক বা সেপটিপিন দিয়ে টেনে নিয়ে আসে। তখন তার ভালো লাগে। এটি যারা খেয়াল করে না, তাদের জন্য আরো ভেতরে যায়। চলে যায় ডেনটিনে। তখন দাঁত শিরশির করে। ডেনটিন বেশ মোটা একটি অংশ। ডেনটিনের পরে হলো ডেন্টাল পাল্প টিস্যু। এখানে রক্তনালি, নার্ভ, আর্টারি থাকে। এর যত কাছে যাবে তার স্পর্শকাতরতা তত বেশি হবে। ঠাণ্ডা খেলে বা মিষ্টি খেলে তার দাঁত শিরশির করে। পাল্পে যখন লাগে তখন কিন্তু পাল্পপাইটিস রোগটি হয়ে যায়। এই পাল্প আর ভালো হয় না।
যখন পাল্পাইটিস হয়, তখন ব্যথা আরম্ভ হয়। এটি আক্রান্ত হলে, আংশিক বা সম্পূর্ণ পাল্প ফেলে দিতে হবে।
এই চিকিৎসার নাম হলো, রুট ক্যানেল থেরাপি। এটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রতি ছয় মাস পর পর দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কিন্তু এক বছর পরপর গেলেই হয়।
দাঁত ক্ষয় হলে এটি যেন আটকে থাকে, তাই আমরা কেবল ফিলিং মেটেরিয়াল বসিয়ে দেই। এতে তার ক্ষয়টি আর বড় হয় না, ভেতরের দিকে যায় না। দেখা যায়, রোগী সারা জীবন ভালো থাকে।