ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়
বর্তমানে তরুণ থেকে বয়সী, অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ডায়েট ও জীবনযাপনে পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ৩৯৬৯তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ খান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন ডা. মুনা তাহসিন।
ডায়াবেটিস কী
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত রোগ। সোজা কথায় বলতে গেলে, এই রোগে রক্তের যে গ্লুকোজ, তা স্থায়ীভাবে বেড়ে যায়। স্থায়ীভাবে বলতে আপনি যদি নিয়ন্ত্রণ না করেন, তাহলে স্থায়ীভাবে বেড়ে যায় এবং স্থায়ীভাবে বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে অনেক বিপাক সৃষ্টি হয়, যাতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের মস্তিষ্ক, চোখ, কিডনি, হার্ট ইত্যাদিতে প্রভাব পড়ে। এ রোগে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়।
ডায়াবেটিস শরীরের কোন অঙ্গ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ খান বলেন, শরীরে যে আমাদের অগ্ন্যাশয় আছে, সেখানে কতগুলো সেল আছে, যাকে বলে বিটা সেল। সেই বিটা সেল থেকে একটা হরমোন তৈরি হয়, তার নাম ইনসুলিন। তো এই ইনসুলিন ডায়াবেটিস রোগে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস হলে সাধারণত তাঁর ইনসুলিন কমে যায় বা চলে যায়। অথবা ইনসুলিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ খান বলেন, এর পেছনে দুটি প্রভাব কাজ করে। একটি বংশগত প্রভাব, অন্যটি পারিপার্শ্বিক প্রভাব। বর্তমান পৃথিবীতে ডায়াবেটিস মহামারির মতো। শুধু তা-ই নয়, এটি মহামারিরূপে চিহ্নিত।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন, যার জন্য টাইপ-টু ডায়াবেটিস বাড়ল, সেটার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। যদিও ডায়াবেটিস হওয়ার পেছনে বংশগত প্রভাব আছে, তবে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। এই যে জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন, যেটা আমরাই সৃষ্টি করেছি, আমাদেরই সংশোধন করতে হবে।