জ্বরের কারণেও চুল পড়ে
চুল পড়া বর্তমানে স্বাস্থ্যগত প্রচলিত সমস্যার মধ্যে একটি। সাধারণত দিনে ১০০ থেকে ১৫০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে এর চেয়ে বেশি পড়লে একে সমস্যা হিসেবে ধরা হয়।
চুল পড়ার সমস্যা এতো বাড়ছে কেন, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ইসরাত জাহান। বর্তমানে তিনি ল্যাবএইড (গুলশান)-এর ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬১৪তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : চুল পড়ার সমস্যা এত বেশি কেন?
উত্তর : চুল হলো মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রধান অংশ। চুলকে মেয়েদের মাথার মুকুট বলা হয়ে থাকে। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে চুল আসলে কেবল সৌন্দর্যের অংশই নয়, এটি স্কাল্পকে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। তাপমাত্রা ব্যবস্থাপনা করে। তাই চুলকে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গও বলা যায়। চুল পড়া বর্তমানে খুব বেড়ে গেছে। চর্মবিশেষজ্ঞদের কাছে এখন চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেক রোগী আসে। আমার মনে হয়, এর প্রধান কারণ হলো দূষণ। ঢাকা শহর তো দূষণে এক নম্বর। আরেকটি কারণ হলো জ্বর।
সম্পতি যেহেতু আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ খুব ছিল, এ থেকে হতে পারে। মজার বিষয় হলো, জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু চুলটা পড়বে না, তিন থেকে ছয় মাস পরে সাধারণত চুল পড়ে।
যেকোনো ধরনের জ্বরের (টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি) তিন থেকে ছয় মাস পর চুল পড়ে।
প্রশ্ন : ভাইরাল ফিবারে (ভাইরাস জ্বর) কি এটি হয়ে থাকে?
উত্তর : ভাইরাস জ্বরেও অনেক সময় এটি হয়ে থাকে, যদি এর মাত্রাটা বেশি হয়। যেমন, জ্বর যদি ১০১-এর বেশি চলে যায়, তখন দেখা যায় যে চুল পড়ে।
আবার এমনিতেও চুল পড়ে। একটি চুলের আয়ু তো আসলে এক হাজার দিন। চুলের তো একটি জীবনচক্র রয়েছে। এতে তিনটি ধাপ রয়েছে। একটি ধাপে চুল বড় হবে, আরেকটি ধাপে তার অবস্থার পরিবর্তন হবে, আরেকটি ধাপে ঝরে যাবে।
আসলে প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ থেকে ১৫০টি চুল পড়বে। এটা স্বাভাবিক। এটি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। যখন এই মাত্রাটা পার হবে, তখনই এটি চিন্তার বিষয়।