সাক্ষাৎকার
দাদা বলেছিলেন রূপসা চরিত্র আমি করতে পারব : সাঁঝবাতি
গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘শঙ্খচিল’ ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ১৪ এপ্রিল। যৌথ প্রযোজনার ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী সাঁঝবাতি। এতে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও বাংলাদেশের অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া সাঁঝবাতি। ছবিটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপ করেছে সাঁঝবাতি।
প্রশ্ন : শুনেছি ‘শঙ্খচিল’ ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছা তোমার ছিল না। আসলে কি তাই?
উত্তর : আমার দাদা আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের কর্ণধার হাবিবুর রহমান। দাদা বলেছিলেন, রূপসা চরিত্র আমি করতে পারব। দাদার কথা শুনে আমি প্রথমে জোকস মনে করেছিলাম। কারণ আমি তো কখনো অভিনয় করিনি। প্রথম দিকে আমার ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল না। পরে দাদা, মা এবং গৌতম দাদা বুঝিয়ে আমাকে রাজি করিয়েছিলেন।
প্রশ্ন : ‘শঙ্খচিল’ ছবির অডিশন দেওয়ার অভিজ্ঞতা তোমার কেমন ছিল?
উত্তর : গৌতম দাদা আমার দাদার অনেক ভালো বন্ধু। এ জন্য গৌতম দাদা প্রায়ই আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতেন। ছবির অডিশনের জন্য গৌতম দাদা আমাদের বাসায় এসেছিলেন। বাসার ছাদেই অডিশন দিয়েছিলাম আমি। তখন বেশ ভয় কাজ করেছিল। নার্ভাস ছিলাম। তবে গৌতম দাদা খুব পছন্দ করেছিলেন আমাকে।
প্রশ্ন : এরপর ছবিতে অভিনয়ের জন্য কীভাবে রাজি হয়েছিলে?
উত্তর : একবাক্যে রাজি হইনি। আমি একটা শর্ত দিয়েছিলাম। শর্তটা ছিল, শুটিং চলাকালীন আমাকে আইসক্রিম খেতে দিতে হবে। আমার শর্তে সবাই রাজি হয়েছিলেন। আমিও খুশি হয়েছিলাম। গৌতম দাদা শুটিং চলাকালীন আমার অনেক যত্নও নিয়েছিলেন।
প্রশ্ন : কলকাতার অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও বাংলাদেশের অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের সঙ্গে কাজ করে কেমন লেগেছে তোমার?
উত্তর : খুব ভালো। তাঁরা খুব আদর করেছেন আমাকে। আমি খুব ভাগ্যবান তাঁদের মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করতে পেরেছি।
প্রশ্ন : শুটিংয়ের সময় তোমার মা অভিনেত্রী বুড়ি আলী তো তোমার সঙ্গেই ছিলেন।
উত্তর : মা ছাড়া অভিনয় করা আমার জন্য অসম্ভব ছিল। শুটিং চলার সময় অনেক গরম ছিল। মা আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। আমার সব সময় খেয়াল রেখেছিলেন মা। ছবির গল্প বুঝাতেও মা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন।
প্রশ্ন : ছবির এক সংবাদ সম্মেলনে গৌতম ঘোষ বলেছিলেন, তুমি জন্মগ্রহণ করেছো রূপসা চরিত্রটি করার জন্য। কথাটা শোনার পর কেমন লেগেছে তোমার?
উত্তর : খুব ভালো লেগেছে। রূপসা চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবেও আমার কিন্তু মিল আছে। এটা আমার দাদা হাবিবুর রহমানও বুঝেছিলেন অনেক আগেই।
প্রশ্ন : তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর : স্থপতি হতে চাই। অভিনয় নিয়ে এখনো কিছু ভাবিনি।
প্রশ্ন : অবসরে কী করো তুমি?
উত্তর : ছবি আঁকি এবং গল্পের বই পড়ি।