তারকার প্রথম
মিমের প্রথম সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ
অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম, সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন অনেক আগেই। ছোট পর্দার পর এখন বড় পর্দা, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ, মিমের সাফল্য-রথ সবেগে ছুটে চলেছে। আমরা আজ জানব এই জনপ্রিয় তারকার প্রথম কিছু মুহূর্তের কথা। যেমন প্রথম অভিনীত নাটকে মিমের কোনো সংলাপ ছিল না। সংলাপ ছাড়াই তিনি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। চলুন, জেনে নিই মিমের জীবনের এমন কিছু প্রথম অভিজ্ঞতার কথা।
প্রথম স্কুল
আমার শৈশব ভোলায় কেটেছে। ভোলার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রথম পড়েছিলাম।
প্রথম শিক্ষক
আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন হীরণ পিসি। তিনি আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন। পিসির কাছ থেকেই অক্ষরজ্ঞান শিখেছি আমি। আমি কিন্তু হীরণ পিসির অনেক মারও খেয়েছি। ভোর ৫টায় আমাকে ঘুম থেকে তুলতেন তিনি। তার পর পড়ানো শুরু করতেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমাকে পড়াতেন হীরণ পিসি। এতক্ষণ একটানা পড়তে মাঝেমধ্যে বিরক্ত লাগত আমার। তাই হীরণ পিসির ওপর রাগ হতো অনেক। কিন্তু পিসি আমার প্রতি অনেক যত্নবান ছিলেন।
প্রথম পড়া বই
রূপকথা ও ভূতের গল্পের বই পড়েছি। ছোটবেলায় আমি এত বই পড়েছি যে প্রথম কোন বইটা পড়েছি, এটা এখন একদম ভুলে গেছি।
প্রথম নাটক
‘রহস্য’। পরিচালক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ স্যার। আমার সহশিল্পী ছিলেন রিয়াজ ভাই। মজার ব্যাপার হলো, এই নাটকে আমার কোনো সংলাপ ছিল না। যখন নাটকের চিত্রনাট্য পেয়েছিলাম, তখন একটু মন খারাপ হয়েছিল। মাকে বলেছিলাম, ‘মা, কীভাবে অভিনয় করব? নাটকে তো কোনো সংলাপই নেই।’ তবে নাটকের গল্প ছিল আমাকে ঘিরেই। গল্পটা এমন ছিল কেউ প্রশ্ন করলে আমি জবাব দিব না, শুধু তাকিয়ে থাকব। আবার আমি বোবাও নই। নাটকটা প্রচারের পর সবাইকে আমি মজা করে বলেছিলাম, ‘আচ্ছা, আমার বোবা চরিত্রের অভিনয় কেমন লেগেছে?’ এমনকি অনেক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরেও আমি বলেছিলাম, নাটকে আমি একজন বোবা মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আসলে নাটকে আমার যে কোনো সংলাপ ছিল না, এ বিষয়টাই পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম আমি।
প্রথম পারিশ্রমিক
পাঁচ হাজার টাকা। ‘রহস্য’ নাটকে অভিনয় করে এই টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলাম। টাকাটা দিয়ে কী করেছি, সেটা এখন মনে নেই। তবে এতটুকু মনে আছে, মাকে টাকাটা দিয়েছিলাম।