এনটিভিতে শুরু হচ্ছে ‘হা-শো’র পঞ্চম মৌসুম
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে গত চার মৌসুম ধারাবাহিক সাফল্যের পর আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো ‘মার্সেল প্রেজেন্টস হা-শো’র পঞ্চম মৌসুম।
এবার বিচারক হিসেবে থাকছেন চিত্রনায়ক আমিন খান, অভিনেতা তুষার খান ও নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা। উপস্থাপনা করবেন ‘মীরাক্কেল’খ্যাত স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান আবু হেনা রনি।
২৪ অক্টোবর থেকে সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হবে এটি।
এর আগে দ্বিতীয় মৌসুমে এই শোতে অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছিল চিত্রনায়ক আমিন খানকে। তবে পঞ্চম মৌসুমে প্রথমবারের মতো পুরো শোতেই বিচারক হিসেবে থাকছেন এ তারকা। আর অনুষ্ঠানের বিচারক হতে পেরে উচ্ছ্বসিত আমিন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি পর্বের শুটিংও শেষ হয়েছে। বিচারক আমিন খান এনটিভি অনলাইনকে জানালেন, দারুণ হচ্ছে ‘হা-শো’। প্রতিযোগীদের হাস্যরস, ভঙ্গি, উপস্থাপনায় মুগ্ধ তিনি। এবারের মৌসুম গত চার মৌসুমের তুলনায় আরো হৃদয়গ্রাহী হবে।
আমিন খান আরো জানালেন, এবারের মৌসুমের মঞ্চেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। উপস্থাপক আবু হেনা রনির ব্যাপক প্রশংসা করলেন তিনি। বললেন, রনির উপস্থাপনার ভঙ্গি একদম আলাদা। যিনিই টিভি পর্দার সামনে একবার বসবেন, শো শেষ না হওয়া পর্যন্ত উঠবেন না।
এর আগে দ্বিতীয় মৌসুমে বিচারক ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা তুষার খান। সেই মৌসুমটি দারুণ উপভোগ করেছিলেন। অডিশনেও বিচারক ছিলেন। পঞ্চম মৌসুমেও অন্যতম বিচারক তিনি।
তুষার খান জানালেন, বিভিন্ন বিভাগে অডিশন চলাকালে হাজির ছিলেন। প্রতিযোগীদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ তিনি। প্রতি মৌসুমেই অনুষ্ঠানটির উন্নতি হচ্ছে। তবে তুষার খানের বিশ্বাস, অন্য মৌসুমগুলোর তুলনায় এবারের মৌসুম সেরা হবে। শুধু তিনিই নন, এ কথা বলছেন গ্রুমাররাও।
বিভিন্ন রিয়েলিটি শোর বিচারক হলেও এবারই প্রথম কমেডি শোর বিচারক হলেন জননন্দিত নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উচ্ছ্বাস অনেক বেশি। বললেন, ছেলেমেয়েরা দারুণ কৌতুক করছেন। সেসব তাঁর কাছে কৌতুকই, ভাঁড়ামি নয়। তাঁর ভাষায়, ‘স্ট্যান্ড-আপ কমেডি যেমন হয়, সে রকমই করার চেষ্টা করছে প্রতিযোগীরা। আমাদের দেশে যে ছেলেমেয়েরা কৌতুকে এত এগিয়ে যাবে, সেটাকে পেশাদারত্বের চোখেই দেখবে, এটা কিছুদিন আগেও ভাবা যায়নি।’
মুনমুন আরো বলেন, ‘এই শোর মধ্য দিয়ে ভালো ভালো কমেডিয়ান বেরিয়ে আসছে। দেশের বাইরে গিয়েও পারফর্ম করছে। আগে দেখতাম শুধু ছেলেরা কমেডি করত, এখন মেয়েরাও সমানতালে কমেডি করছে। মেয়েদের কৌতুক নিয়ে যে জড়তা ছিল, সেসবও কেটে যাচ্ছে। মেয়েরা যে পিছিয়ে নেই, এটা দেখতেই খুব ভালো লাগছে।’
‘হা-শো’ নিয়ে আশাবাদী প্রযোজক জাহাঙ্গীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এবার হা-শো যাঁরা দেখবেন তাঁরা অনেক নতুনত্ব খুঁজে পাবেন। উপস্থাপক ও বিচারক সবাই নতুন। প্রতিযোগীরাও অনেক ট্যালেন্ট। আশা করছি, সব মিলিয়ে এবারের হা-শো হবে ফাটাফাটি।’
প্রযোজক কাজী মোস্তফা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো হা-শো পরিচালনা করছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে। অভিজ্ঞতাও চমৎকার হয়েছে। আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারও দর্শক হা-শো উপভোগ করবেন।’
মার্সেলের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘হাসতে চাই, সবাইকে হাসাতে চাই। মার্সেল ব্র্যান্ড ও এনটিভিকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এই অনুষ্ঠানটি পঞ্চমবারের মতো করতে যাচ্ছি। হাসলে নাকি শরীর-মন ভালো থাকে। মানুষ যেন হা-শো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাসতে পারেন। আশা করছি, আমরা সেটা পারব।’
বাংলাদেশের ছয়টি বিভাগীয় শহর থেকে প্রাথমিক বাছাই করে মোট ৩৬ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘হা-শো’র মূল অনুষ্ঠান। প্রতি পর্বে সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিযোগীকে নিয়ে পরবর্তী রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত পাঁচজন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করবেন। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন হবেন একজন।
এনটিভি আয়োজিত ‘হা-শো’ বাংলাদেশের জোকস পারফরম্যান্সভিত্তিক প্রথম রিয়্যালিটি শো।