মৌসুমীকে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে তারা পালাল কেন? প্রশ্ন রুবেলের
নানা বিতর্ক চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন নিয়ে। চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও ডিএ তায়েব প্যানেলে নির্বাচন করার কথা ছিল ফেরদৌস, রিয়াজ, পপিসহ একাধিক তারকা শিল্পীর। এখন কেউ প্যানেলে নেই। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। মৌসুমীকে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে তারা পালাল কেন? এমন প্রশ্ন করেছেন নায়ক রুবেল।
রুবেল বলেন, ‘মৌসুমী একজন শ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী, একজন সুপারস্টার। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাঁকে এভাবে নির্বাচনের মতো যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে যাঁরা পেছন থেকে সরে গেলেন, তাঁরা খুব খারাপ কাজ করেছেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
রুবেল আরো বলেন, ‘একটি বিশেষ কারণে মৌসুমীর প্যানেলে ডিএ তায়েব দাঁড়াতে পারেননি। তাই বলে পুরো প্যানেলে ২১ জনের মধ্যে একজনকেও পেলেন না মৌসুমী? ডিএ তায়েব একজন সরকারি কর্মকর্তা। আমি যতদূর জেনেছি, ডিএ তায়েবের এ নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা শুনে ভাইয়া (সোহেল রানা) এক ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন, তায়েবের নির্বাচনের রাস্তা নেই। সরকারি কোনো কর্মকর্তা এসব নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে নাকি নিয়ম আছে। তাই তিনি নির্বাচন করছেন না হয়তো। ব্যাপারটি নিয়মের সঙ্গে জড়িত। ভয়ভীতি দেখিয়ে মৌসুমীকে একা করে ফেলেছি এমন অভিযোগ এনে শ্রেফ আমাদের কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী শুক্রবার (২৫ অক্টোবর)। এ নির্বাচনে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাসুম রুবেল। দেশীয় চলচ্চিত্রে অ্যাকশন হিরো হিসেবে তিনি সুপরিচিত। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে রুবেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।