এনটিভিতে তিশা-ইরফান সাজ্জাদের ‘দুর্গা ও বনজ্যোৎস্নার গল্প’
দুর্গাপূজার বিশেষ নাটক ‘দুর্গা ও বনজ্যোৎস্নার গল্প’। অনুরূপ আইচের রচনায় নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সীমান্ত সজল। নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা ও ইরফান সাজ্জাদ। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহম্মেদ, জিয়াউল হাসান কিসলু প্রমুখ। নাটকের নির্বাহী প্রযোজক সত্যজিৎ রায়। আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় এনটিভিতে নাটকটি প্রচার করা হবে।
পরিচালক সীমান্ত সজল বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় এনটিভিতে নাটকটি প্রচার করা হবে। এই নাটকটি দুর্গাপূজার বিশেষ নাটক। আশা করি, সবার কাছে ভালো লাগবে।’
নাটকের গল্প নিয়ে পরিচালক সীমান্ত সজল বলেন, লেখক স্বাগতম নতুন লেখার খোঁজে শহর থেকে খানিক দূরে নির্জন বনাঞ্চল সুন্দরপুর ডাকবাংলোয় এসে ওঠে। বয়োবৃদ্ধ কেয়ারটেকার হরিপদ স্বাগতম বাবুর দেখাশোনার জন্য তার মেয়ে দুর্গাকে দায়িত্ব দেয়। দুর্গা নিয়ম করে স্বাগতম বাবুর রান্নাবান্না করে দেয়, মাঝেমধ্যে চা করে দেয়। স্বাগতম লিখতে বসে মনের ভেতর নতুন লেখা হাতড়ে বেড়ায়। কিন্তু ভাবতে গিয়ে ভালো কোনো কিছু খুঁজে পায় না। কাগজ ছিঁড়ে ঘরের মেঝে জড়ো করে তবুও লেখার কূলকিনারা পায় না। দুর্গাকে স্বাগতম জিজ্ঞেস করে, এ বনে কী কী পাওয়া যায়? সবুজের গন্ধ পাওয়া যায়, অদৃশ্য আনন্দ পাওয়া যায়, পাওয়া যায় জীবনের ছন্দ।
দুর্গা আরো বলে, বাবু তোমাকে পদ্ম পুকুরে বনজ্যোৎস্না দেখাতে নিয়ে যাব। অন্য একদিন দুর্গা শহরের বাবুর জন্য বনে স্থাপিত পূজামণ্ডপে মা দুর্গার চরণতলে মিনতি করে মুক্তি প্রার্থনা করে। তখন স্বাগতম মনে মনে বলে, এ কী মানুষ নাকি প্রতিমা? নিজের মুক্তি কামনা না করে অন্যের মুক্তি প্রার্থনা করে। এ তো সাক্ষাৎ মা দুর্গা। গল্পের পরিশেষে স্বাগতম বাবু বুঝতে পারে, জ্যোৎস্না আসলে বনে নয়, জ্যোৎস্না থাকে মানুষের মনে। মনের সেই জ্যোৎস্নাকে জাগিয়ে তুলে মানবের তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই সার্থক হবে এ মানব জনম। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।