‘তাঁরা কেন ভয় পাচ্ছেন? কীসের এত ভয়?’ রিয়াজের প্রশ্ন
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সমিতির সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ। তাঁর অভিযোগ সভায় তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে রাগে ও ক্ষোভে এজিএম থেকে বের হয়ে যান তিনি।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘সমিতিতে যা হচ্ছে তা নিয়ে বলার ভাষা নেই। কেমন একটা একনায়কতন্ত্রভাব। সবকিছুতে সভাপতি আর সেক্রেটারিই যেন সব। কথা বলার জন্য আধাঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমি বের হয়ে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘তাঁরা কেন ভয় পাচ্ছেন? কীসের এত ভয়?’
গতকাল শুক্রবার এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির এজিএম। সেখানেই ওই ঘটনা ঘটে।
সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ছাড়াও এজিএমে উপস্থিত ছিলেন নায়িকা মৌসুমী, ওমর সানী, সমিতির সহসভাপতি রিয়াজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জনা, নাসরিন, জেসমিনসহ আরো কয়েকজন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রায় দুই শতাধিক সাধারণ সদস্য।
কথা বলার জন্য প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে দাবি করেন রিয়াজ। রিয়াজ বলেন, ‘সব অর্জন কী তাঁদের দুজনের? তাঁরা দুজন কী একা একা জয়ী হতে পারতেন বা দুইটা বছর একাই চলতে পারতেন? এজিএম করার কথা প্রতি বছর। সেটা হয়নি। দুই বছর শেষে হচ্ছে, সেখানেও যদি কথা বলার সুযোগ না থাকে তাহলে তো মেনে নেওয়া যায় না। সভাপতি আর সেক্রেটারির বাইরে এজিএমে আর কোনো পদের লোক কথা বলতে পারবেন না, এমন গঠনতন্ত্রের কথা আমার জানা নেই। তারা কেন ভয় পাচ্ছেন? কীসের এত ভয়? আমরা তো শিল্পী সমিতিতে গণতন্ত্র ও সুন্দর কিছু চর্চার জন্যই এক হয়েছিলাম। তাহলে এত রাজনীতি কেন সবকিছু নিয়ে?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘এজিএম হলো যারা কমিটিতে থাকে তাদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে কৈফিয়তের অনুষ্ঠান। সাধারণ সদস্যদের কাছে এদিন কমিটি জবাবদিহি করবে। সভাপতি ও সেক্রেটারি সব প্রশ্ন বা অভিযোগের উত্তর দেবেন। এখানে সবার কথা বলার কিছু নেই। এমন কোনো নিয়মও নেই আমাদের গঠনতন্ত্রে৷ তবে সাধারণ সদস্য যদি সহসভাপতি রিয়াজের কাছে কিছু জানতে চায়, তবে সভাপতির অনুমতি নিয়ে তিনি তার উত্তর দেবেন।’
২০১৭ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে মিশা সওদাগর - জায়েদ খান প্যানেল নির্বাচন করছে। সভাপতি পদে জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় ২০১৯-২১ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। পরে খসড়া ভোটার তালিকায় ৪৪৯ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ ৫ অক্টোবর। আজ বিকেল ৫টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রপাড়া সরগরম।