ঘটা করে বিয়ে, তারপর তালাক!
মনীষীরা বলেন, ভাঙাগড়াই জীবন। প্রেম-বিচ্ছেদ জীবনেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রথম দেখায়ও প্রেমের উদয় হয়। রাতারাতিই মনে ভাবনা আসে—‘ওকে ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ’। এ অনুভূতি দারুণ। কিন্তু কখনো কখনো সেই মধুর সম্পর্ক একদিন তিক্ততায় পর্যবসিত হয়। বিচ্ছেদের কালো ছায়াও নেমে আসে।
উত্তাপ ছড়ানো প্রেম আর তিক্ত বিচ্ছেদ, দুইই প্রত্যক্ষ করেছে বলিউড। প্রেমের পর বহু বছর ধরে একসঙ্গে বিবাহিত জীবনও কাটিয়েছেন অনেক তারকা। তারপর একদিন ভক্তদের হৃদয় ভেঙে বিচ্ছেদের ঘোষণা শুনতে হয়েছে। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি বিচ্ছেদ হবে, এমন কয়েক তারকার বিচ্ছেদনামা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
মালাইকা-আরবাজ
১৮ বছরের দীর্ঘদিন দাম্পত্যজীবন কাটানোর পর আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খান। পুরো বিনোদন অঙ্গন স্তব্ধ হয়েছিল সেই ঘোষণা শুনে। এমনকি এ দম্পতিও নাকি কখনো ভাবতেও পারেননি ভাবিষ্যতে বিচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু সত্যি সেটা হয়েছে। তাঁদের ঘরে রয়েছে ১৬ বছরের পুত্রসন্তান আরহান। আইনিভাবে বিচ্ছেদের পর দুজনই নতুন প্রেমে পড়েছেন।
হৃতিক-সুসান
বলিউডে গত দুই দশকে অন্যতম হৃদয়ভাঙা বিচ্ছেদ হৃতিক রোশন ও সুসান খানের। ক্যারিয়ারের তুঙ্গ সময়ে শৈশবের বন্ধু সুসানকে বিয়ে করেন হৃতিক। নারীপ্রীতি, জনপ্রিয়তা, ধর্ম—কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি এ যুগলের। তাঁদের প্রেমকে সত্যিকারের প্রেম বলেই মান্য করত বি-টাউন। কিন্তু একদিন এ যুগল বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন, মুষড়ে পড়েন তাঁদের ভক্তরা। আইনিভাবে বিচ্ছেদ হলেও আজও তাঁরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। আর এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে তাঁদের সন্তানেরা।
ফারহান-অধুনা
নির্মাতা-অভিনেতা ফারহান আখতার ও অধুনা ভবানির প্রেমের গল্প শুরু ১৯৯৭ সালে, একটি নাইটক্লাবে। এরপরই তাঁরা একে অন্যকে আঁকড়ে ধরেন দৃঢ় বন্ধনে। টানা তিন বছর চুটিয়ে প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুজন। আর এ বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বয়স। অধুনার চেয়ে ছয় বছরের ছোট ফারহান। এই যুগলের রয়েছে দুই কন্যাসন্তান শাক্য ও আকিরা। দীর্ঘ ১৬ বছর সংসার করার পর ফারহান-অধুনা আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে আজও তাঁরা ভালো বন্ধু রয়ে গেছেন।
আমির-রীনা
সিমি গাড়েওয়ালের চ্যাট শোতে আমির খান একবার প্রকাশ করেছিলেন, নিজের রক্ত দিয়ে রীনা দত্তকে প্রেমপত্র লিখতেন। তীব্র প্রেমে পড়েছিলেন আমির ও রীনা। ১৯৮৬ সালে বিয়ে করেন আমির-রীনা। ১৬ বছর পর ২০০২ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। তাঁদের ঘরে রয়েছে ইরা খান ও জুনাইদ খান নামের দুই ছেলেমেয়ে। এরপর ২০০৫ সালে নিজের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির খান। এ ঘরে রয়েছে একমাত্র পুত্রসন্তান আজাদ। অবশ্য বেশ কয়েক বছর পর আমির-রীনা-কিরণ তিনজনই উষ্ণ সম্পর্ক প্রকাশ করেন জনসমক্ষে।
দিয়া-সাহিল
কিছুদিন আগে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা ও তাঁর স্বামী সাহিল সংঘ। টানা আট বছর প্রেমের পর এ যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু সেই সম্পর্কে ছেদ ঘটল কিছুদিন আগে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে বিচ্ছেদের বার্তা দেন দিয়া মির্জা। যদিও তাঁরা বলেছেন, বন্ধুত্ব অটুট থাকবে, তবে বি-টাউন হতাশ। সূত্র : ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস