‘শরীর ঢেকে রাখো’, তোপের মুখে শাহরুখকন্যা
অনলাইন ডেস্ক
পোশাক-আশাকসহ নানা কারণেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন তারকা ও তাঁদের সন্তানেরা। প্রায়ই নেটিজেনদের দুর্ব্যবহারের শিকার হন তাঁরা। অশালীন বক্তব্য দিতেও ছাড়েন না। এবার সোশ্যালে আক্রমণের মুখে পড়লেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খান।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ক্রিম রঙের টপ ও কালো প্যান্ট পরে একটি ছবি শেয়ার করেন সুহানা খান। ওই ছবি শেয়ারের পরই নেটিজেনদের একাংশের আক্রমণের মুখে পড়েন সুহানা।
শাহরুখ খানের মেয়ে হয়ে সুহানা কীভাবে ওই ধরনের পোশাক পরেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। সুহানা এখনো বেশ ছোট, তাই এই ধরনের ছবি শেয়ার করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
জি নিউজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই ছবি প্রকাশের পর সুহানাকে ধর্ম নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেন নেটিজেনরা। মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে সুহানা খান কেন এই ধরনের পোশাক পরলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ।
একজন কড়া ভাষায় লিখেছেন, ‘সব সময় নিজের শরীর দেখানোর চেষ্টা করো না। স্বাভাবিক হও। যদি শালীন পোশাক পরো, তবে তোমারে অনেক সুন্দর লাগবে।’ আরেকজন লেখেন, ‘সুহানা, ঠিকঠাক কাপড় পরো।’ তবে প্রশংসাও করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বলেই দিয়েছেন, ‘আই লাভ ইউ।’
কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের আর্ডিংলে কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান ও বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গৌরী খানের মেয়ে সুহানা খান। এরপর নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন এ স্টার কিড।
বলিউডে মেয়ের অভিষেক নিয়ে যখন জোর কানাঘুষা চলছিল, তখন বাবা শাহরুখ খান জানান, সুহানা মার্কিন মুলুকে আরো লেখাপড়া করবেন। লেখাপড়া শেষে অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করবেন তাঁর আদরের কন্যা। অবশেষে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন সুহানা খান। প্রথম দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা গৌরী খান।
বলিউডে অভিষেক না হলেও এরই মধ্যে অন্তর্জালে অগণিত ভক্ত-অনুরাগী শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খানের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তারকা-সন্তানের রয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্যান পেজ। ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থাকলেও একনিষ্ঠ অনুরাগীরা প্রায়ই তাঁর নতুন নতুন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। আর সেসব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্তর্জালে।
এরই মধ্যে অবশ্য অভিনয়ে অভিষেক করেছেন সুহানা খান। স্বপ্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য গ্রে পার্ট অব ব্লু’-তে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিটি নির্মাণ করেছেন তাঁর কলেজ-বন্ধু থিওডোর জিমেনো।
