রানুকে নিয়ে লতার মন্তব্যে হতাশ অন্তর্জালবাসী
জীবন্ত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। প্রায় সব ভারতীয় কণ্ঠশিল্পীই তাঁর গান গেয়ে নিজেকে ধন্য করেছেন। কিন্তু কেউ লতা মঙ্গেশকর হতে পারেননি। তাঁর তুলনা তিনিই।
সম্প্রতি লতা মঙ্গেশকরের জনপ্রিয় গান ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হন রানু মণ্ডল। ছিলেন রেলস্টেশনের ভবঘুরে, ভিক্ষুক। ওই গান গেয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান স্টেশনের রানু। এরই মধ্যে ভারতের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘তেরি মেরি কাহানি’, ‘আদত’ ও ‘আশিকি ম্যায় তেরি’ গান রেকর্ড করেছেন রানু। পাচ্ছেন একের পর এক প্রস্তাব।
ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি রানু মণ্ডলকে নিয়ে লতা মঙ্গেশকর বলেছেন, ‘নকল করে বেশিদিন টেকা যায় না।’ সুরের রানির এই মন্তব্যে হতাশ তাঁর অনেক ভক্ত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী।
এক ভক্ত হতাশ হয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি লতা মঙ্গেশকরজির বড় ভক্ত। কিন্তু রানু মণ্ডলকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যে মনে হলো, কীভাবে এত বড় মানুষ একজনকে ছোট করতে পারে।’
Where everyone is happy with the rising of the Underdog #RanuMondal, getting this comment from the legend #LataMangeshkar about Ranu Mondal doesn’t go down well with me.
The legends are made by motivating the aspiring ones rather than questionning their success. pic.twitter.com/CAXoxA7Z6F— Komal B $idhnani (@komal_sidhnani) September 3, 2019
এর আগে বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানু প্রসঙ্গে লতা বলেন, ‘যদি কেউ আমার নাম থেকে লাভবান হয়, কাজ পায়; তবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’
‘কিন্তু আমি মনে করি, অনুকরণ শিল্প নয় আর তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। বহু উঠতি গায়ক আমার বা কিশোরদা (কুমার) বা (মোহাম্মদ) রফি সাহেব বা মুকেশ ভাইয়া বা আশার (ভোঁসলে) গান গেয়ে সাময়িকভাবে মনোযোগ কেড়েছে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেকেনি,’ যোগ করেন লতা।
A poor lady sang on a railway platform for a living. #RanuMondal's voice was miraculously noticed by SM and she became a star. Inspiring
Lata ji could have been more gracious, complimented and helped her. This lecture on "imitation" was avoidable..
https://t.co/b4bHNaUFmf— Chirpy Says (@IndianPrism) September 3, 2019
উঠতি গায়কদের জন্য লতার পরামর্শ, ‘মৌলিক হও। আমার বা আমার সহযাত্রীদের চিরসবুজ গানগুলো গাইতে পারো, কিন্তু সেইসঙ্গে একজন গায়কের উচিত নিজের গানের সন্ধান করা।’ নিজের বোনের উদাহরণ দিয়ে লতা বলেন, ‘যদি আশা (ভোঁসলে) নিজের গায়কি তৈরি করতে না পারত, তবে চিরকাল আমার ছায়া হয়ে থাকত। কীভাবে নিজস্বতা তৈরি করতে হয়, সেটার বড় উদাহরণ সে-ই।’
We all know #RanuMondal will be short lived tryst, but for people who respect you for who you are, your commenting about her is unwarranted. Let her enjoy success as long as it lasts!? @mangeshkarlata pic.twitter.com/7hWFPNzcP5
— Sandeep Sahajpal (@sandeepsahajpal) September 3, 2019
লতা মঙ্গেশকরের মন্তব্যে হতাশ হয়েছেন তাঁর ভক্ত ও নেটিজেনরা। তাঁরা বলছেন, লতা মঙ্গেশকর এত বড় মাপের শিল্পী হয়ে স্টেশন থেকে প্রচারের আলোয় আসা মানুষটিকে এভাবে ছোট না করলেও পারতেন। তা যতদিনই টিকুন বা না টিকুন, সাফল্য উদযাপন করতেই পারেন রানু মণ্ডল।
যা হোক, কলকাতার রানাঘাট রেলস্টেশনের ভবঘুরে গায়িকা থেকে সোজা জাতীয় পর্যায়ের গায়িকা বনে গেছেন রানু মণ্ডল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে ভাইরাল রানুকে এখন ভারতবাসী তো বটেই, উপমহাদেশের অসংখ্য মানুষ চেনেন। তাঁকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় জল্পনার শেষ নেই।