সাময়িক উত্তেজনা, বেশিদিন থাকবে না, রানু প্রসঙ্গে লতা
জীবন্ত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। প্রায় সব ভারতীয় কণ্ঠশিল্পীই তাঁর গান গেয়ে নিজেকে ধন্য করেছেন। কিন্তু কেউ লতা মঙ্গেশকর হতে পারেননি। তাঁর তুলনা তিনিই।
সম্প্রতি লতা মঙ্গেশকরের জনপ্রিয় গান ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন রানু মণ্ডল। ছিলেন রেলস্টেশনের ভবঘুরে, ভিক্ষুক। ওই গান গেয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান স্টেশনের রানু। এরই মধ্যে ভারতের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘তেরি মেরি কাহানি’, ‘আদত’ ও ‘আশিকি ম্যায় তেরি’ গান রেকর্ড করেছেন রানু। পাচ্ছেন একের পর এক প্রস্তাব।
ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবশেষে রানু মণ্ডলকে নিয়ে মুখ খুলেছেন লতা মঙ্গেশকর।
বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানু প্রসঙ্গে লতা বলেছেন, ‘যদি কেউ আমার নাম থেকে লাভবান হয়, কাজ পায়; তবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’
‘কিন্তু আমি মনে করি, অনুকরণ শিল্প নয় আর তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। বহু উঠতি গায়ক আমার বা কিশোরদা (কুমার) বা (মোহাম্মদ) রফি সাহেব বা মুকেশ ভাইয়া বা আশার (ভোঁসলে) গান গেয়ে সাময়িকভাবে মনোযোগ কেড়েছে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেকেনি,’ যোগ করেন লতা।
ভারতের ছোটপর্দায় যেসব মিউজিক শো হচ্ছে আর নতুন মুখের সন্ধান চলছে, সেসব সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। বলেন, ‘অনেক ছেলেমেয়েই আমার গান খুব সুন্দর করে গায়। কিন্তু সাফল্যের প্রথম ঝলক ছাড়া কজনকে মানুষ মনে রেখেছে? আমার তো শুধু সুনীধি চৌহান ও শ্রেয়া ঘোষালের কথাই মনে পড়ে।’
উঠতি গায়কদের জন্য লতার পরামর্শ, ‘মৌলিক হও। আমার বা আমার সহযাত্রীদের চিরসবুজ গানগুলো গাইতে পারো, কিন্তু সেইসঙ্গে একজন গায়কের উচিত নিজের গানের সন্ধান করা।’ নিজের বোনের উদাহরণ দিয়ে লতা বলেন, ‘যদি আশা (ভোঁসলে) নিজের গায়কি তৈরি করতে না পারত, তবে চিরকাল আমার ছায়া হয়ে থাকত। কীভাবে নিজস্বতা তৈরি করতে হয়, সেটার বড় উদাহরণ সে-ই।’
যা হোক,কলকাতার রানাঘাট রেলস্টেশনের ভবঘুরে গায়িকা থেকে সোজা জাতীয় পর্যায়ের গায়িকা বনে গেছেন রানু মণ্ডল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে ভাইরাল রানুকে এখন ভারতবাসী তো বটেই, উপমহাদেশের অসংখ্য মানুষ চেনেন। তাঁকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় জল্পনার শেষ নেই।