‘মোটা, তার মানে বেশি খাই বা অলস নই’
বিনোদন অঙ্গনের কথা এলেই মানুষ প্রত্যাশা করে তাঁদের লুক একদম পারফেক্ট হবে, বিশেষ করে নারী অভিনেতাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি। অবাস্তব সৌন্দর্যের খোঁজে মানুষ তাই স্বাস্থ্যবতীকে নানা কটাক্ষ করেন, কটুকথা বলেন। অপমানজনক কথা এত শুনতে হয় যে, ভুক্তভোগীর আত্মবিশ্বাসও অনেক সময় কমে যায়।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান, সোনাক্ষি সিনহা, ভূমি পেড়নেকার, সারা আলি খানকেও শরীরের ‘বাড়তি’ ওজনের কারণে বডি-শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছে বহুবার। আর এখন যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, যে কেউ যেকোনো মন্তব্য করতে দ্বিধা করেন না। দক্ষিণের অভিনেত্রী নিথিয়া মেনেনকেও ওজনের কারণে অপমানকর কথা শুনতে হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বডি-শেমারদের নানা কটুকথা শুনে আসছেন নিথিয়া। নিজের শরীরের ওজন নিয়ে কেউ যখন কটূক্তি করে, তখন আর সব নারীর মতো এই অভিনেত্রীরও খারাপ লাগে।
‘ওজন সংক্রান্ত ইস্যুগুলো হরমোনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, যা খুব কঠিন ও বেদনাদায়ক। আর এর সঙ্গে যখন ট্রল যোগ হবে, তখন সেটা বেড়ে যায় অনেক। আমাদের উচিত মানুষকে শিক্ষিত করা, আমরা তো আমাদের জীবন উপভোগ করছি। অবশ্যই, ট্রলিং আহত করে আমাকে। আমি হতাশ হয়ে পড়ি,’ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন নিথিয়া মেনেন।
মানুষ মনে করে, যাঁরা বেশি খায়, অলস; তারাই বুঝি বেশি মোটা হয়।
‘আমি বলতে চাই, আলস্য ও খাওয়ার কারণে মোটা হওয়ার ব্যাপার খুব কমই ঘটে। বিশ্বাস করুন, বিশেষ করে অভিনেতাদের ক্ষেত্রে, আমরা তো অলস নই। আমাদের যেরকম কাজ, প্রায় আট ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, আর এটা না বুঝেই... এটা সহজ ব্যাপার নয়,’ যোগ করেন নিথিয়া।
‘তো, এর মানে এই নয় যে আমরা খুব খাই বা অলস। এটা স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যাপার। হতে পারে, এ ধরনের মানুষ কঠিন অবস্থার ভেতর দিয়ে যায়,’ বলেন নিথিয়া।
দক্ষিণী চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিথিয়া মেনেন অনেক বড় তারকা। তবে সম্প্রতি তারকাবহুল চলচ্চিত্র ‘মিশন মঙ্গল’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক করেছেন। ছবিতে বিজ্ঞানীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নিথিয়া। এতে আরো রয়েছেন অক্ষয় কুমার, বিদ্যা বালান, সোনাক্ষি সিনহা, তাপসী পান্নু, কীর্তি কুলহরি ও শর্মণ যোশি। বক্স অফিসে মাত্র সাত দিনে এ ছবির আয় ১২১ কোটি রুপি। সূত্র : ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস