অপেক্ষায় থাকবেন চঞ্চল চৌধুরী
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। টেলিভিশন, মঞ্চ, চলচ্চিত্র কিংবা বিজ্ঞাপন মিডিয়া— সব মাধ্যমেই পদার্পণ তার। শহুরে বা গ্রামীণ চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন দর্শকের মধ্যে। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।
নিজের কাজ দিয়ে অর্জন করেছেন পরিচিতি। সারা দেশে তার ভক্তদের সংখ্যাও কম নয়। আর ভক্তরা চান সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলতে, আড্ডা দিতে। কিন্তু সেই সুযোগ তেমন একটা পান না চঞ্চল চৌধুরীর ভক্তরা। এবার এলো সেই সুযোগ। জনপ্রিয় এই অভিনেতার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে, আড্ডা দিতে ও তাকে কোনো প্রশ্ন করার থাকলে সেটিও জানা যাবে চঞ্চল চৌধুরীর কাছ থেকেই। আগামীকাল রাত ৮টায় যেকোনো রবি এবং এয়ারটেল নম্বর থেকে ২২২৮৮ নম্বরে কল করলেই এই অভিনেতার সঙ্গে কথা বলা যাবে।
এ বিষয়ে চঞ্চল বলেন, ‘দর্শকের সঙ্গে গল্প করার জন্য রবি ও লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট দারুণ একটা সুযোগ করে দিয়েছে। ৩০ জুন ঠিক রাত ৮টায় আমি থাকছি রবিস্টার জোন সার্ভিসে, থাকব শুধু দর্শকের সঙ্গে আড্ডা দিতে। আমি রেডি, আপনারা রেডি তো। আমি থাকব শুধু আপনাদের অপেক্ষায়।’
এদিকে প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে দর্শকের সরাসরি কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছে রবি ও লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী চঞ্চল চৌধুরী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান, ছবি আঁকা— এসব কিছুতেই সমান পারদর্শী। তিনি কোডা, সোডা ও ইউডা কলেজের চারুকলার প্রভাষক ছিলেন। চঞ্চলের অভিনয়জীবন শুরু হয় চারুকলার ছাত্র থাকাকালীন আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। পরে অসংখ্য নাটক ও টিভি সিরিজে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০০৬ সালে ‘রূপকথার গল্প’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনীয় করেন। এরপর ২০০৯ সালে ‘মনপুরা’, ২০১৩ সালে ‘টেলিভিশন’ , ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ , এবং ২০১৮ সালে ‘দেবী’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা লাভ করেছেন।
চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রাধা গোবিন্দ চৌধুরী এবং মায়ের নাম নমিতা চৌধুরী। তিনি কামারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন।