নাঈম-মিমের ‘প্রিয়ন্তী’
এফ এস নাঈম ও নাদিয়া মিম জুটিকে নিয়ে সরদার রোকন নির্মাণ করেছেন নাটক ‘প্রিয়ন্তী’। এর গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন চয়ন দেব।
এতে অয়ন চরিত্রে নাঈম এবং নাটকের নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিম। নাটকটি সম্পর্কে সরদার রোকন বলেন, ‘সামাজিক গল্পের নাটক এটি। আশা করছি, সবার ভালো লাগবে।’ আগামীকাল শনিবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে এনটিভিতে নাটকটি প্রচারিত হবে।
‘প্রিয়ন্তী’র গল্পে দেখা যাবে, ‘অয়নের জন্মদিন। প্রিয়ন্তী একটা রেস্টুরেন্টে কামরা ভাড়া নিয়ে ভালোবাসার মানুষের জন্মদিনে পালনের জন্য বেলুন, ফুল, মোমবাতি দিয়ে সাজিয়েছে। কেক সামনে রেখে বসে আছে প্রিয়ন্তী। অয়নের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অয়নের আসতে দেরি দেখে প্রিয়ন্তী বারবার ফোন দিচ্ছিল অয়নের ফোনে। বিকেলের শেষ দিকে সন্ধ্যা নামল। ফোন ধরে ওপাশ থেকে অয়ন বলছিল প্রিয়ন্তীকে, ওর মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আসতে পারবে না। প্রিয়ন্তী নাছোড়বান্দা, একটু পরপর ফোন দিচ্ছিল অয়নকে। যদি অয়নের মা ভালো ফিল করেন, অবশ্যই অয়ন আসবে এই বিশ্বাসে।
অয়নের মা জাহানারা বেগম মাঝেমধ্যে লো প্রেশার ডায়াবেটিস, বুকে ব্যথা হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খান এবং তখন একমাত্র ছেলে অয়ন সেবা করে। মায়ের কাছ থেকে একটা মিনিটের জন্য সরে না। একটা পর্যায়ে প্রিয়ন্তী ফোনে অয়নের মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে কথা বলে। অয়নের জন্য অপেক্ষা করছে সে, তা মাকে খুলে বলে প্রিয়ন্তী। অয়নের মা অয়নকে যেতে বলেন এবং তিনি সুস্থ আছেন বলেন। বুকে ব্যথা কমেছে। তারপরও অয়ন যেতে চাচ্ছিল না। অয়ন একটু আবেগপ্রবণ। মায়ের প্রতি সে খুব সিরিয়াস। মনমরা মনে অয়ন প্রিয়ন্তীর কাছে যায়। প্রিয়ন্তী ও অয়ন জন্মদিন পালন করে। খুব আবেগে, খুনসুটিতে অনেকটা সময় গভীর প্রেমে, চোখে চোখে ভালোবাসায় অলিগলিতে হারিয়েছিল দুজন। একটা রোমান্টিক গান বাজছিল। হঠাৎ অয়নের ঘোর কাটে এবং মায়ের কথা মনে পড়ে। অয়ন অনবরত ফোন দিতে থাকে মায়ের ফোনে। অস্থিরতা নিয়ে তাড়াহুড়ো করে সে বাড়িতে যায়, গিয়ে কলিংবেল বাজাতে থাকে বাইরে থেকে, ভেতর থেকে দরজা মা খুলছেন না। ফোনও দেয় অয়ন। ফোন তুলছেন না। অয়ন কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং দরজা ধাক্কাতে থাকে। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে।’