ঈদের সকালে মৌসুমী-সানির বিষাদ, সন্ধ্যায় তারার আলো
‘ঈদের জামাত পড়ে মা-বাবা’র কবর জিয়ারত করে দিনটি শুরু করেছি। কবরের পাশে অনেক্ষণ কেঁদেছি, মনে বিষাদ, কারণ পৃথিবীতে মা-বাবা নেই। বোনাট হজ্ব করতে গেছে। যে কারণে নিয়মের ঈদটা কোথায় যেন বাঁধা। তবে সন্ধায় মনটা ভরে গেল, যখন থেকে চলচ্চিত্রের বন্ধু সহকর্মিরা বাসায় আসা শুরু করল। সবাই মিলে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছি। ‘কথাগুলো বলেন নায়ক ওমর সানি
ঈদের দিন সন্ধ্যায় মৌসুমী-সানির বাসায় বসেছিল তারার মেলা। সেখানে এসেছিলেন অমিত হাসান, আমিন খান, ডি এ তায়েব, বিদ্যা সিনহা মীম, পলি, রবি চৌধুরী প্রমুখ।
মৌসুমী বলেন, ‘রাজ্জাক ভাই বেঁচে থাকতে দেখেছি, ঈদের মতো উৎসব গুলোতে উনার বাসায় সব শিল্পীরা যেতেন। রাজ্জাক ভাই নিজে সবাইকে দাওয়াত করতেন। আলমগীর ভাই এখনো মাঝেমধ্যে উনার বাসায় এমন আয়োজন করেন। আমরা অনেক আগে থেকেই উৎসবগুলোতে নিজের বাসায় বন্ধু-সহকর্মিদের নিয়ে আনন্দ করার চেষ্টা করি। যারা ঢাকায় থাকেন তারা আমাদের সাথে আনন্দে যুক্ত হন। আমরা বিষয়টা অনেক এনজয় করি।
ওমর সানি বলেন, ‘আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, তখন স্কুলে অনেক বন্ধু ছিল, তাদের নিয়ে মজা করে ঈদ পালন করেছি। কলেজ ইউনিভাসিটিতে যখন পড়েছি তখনো অনেক বন্ধু ছিল যাদের সাথে আনন্দ করে ঈদ পালন করতাম। দির্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্রে কাজ করছি, এখানেও অনেক বন্ধু হয়েছে, এখন তাদের সাথে ঈদে আনন্দ করি। সেই হিসেবেই চলচ্চিত্রের বন্ধুরা গতকাল ঈদ উপলক্ষে আমার বাসায় এসেছিল আমরা অনেক মজা করেছি।’
বাংলাদেশের শোবিজে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল দম্পতিদের মধ্যে ওমর সানি ও মৌসুমী অন্যতম। একসঙ্গে ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেম হয় এবং সেই প্রেমের সম্পর্ক পূর্ণতা পায় ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট বিয়ের মাধ্যমে। দেখতে দেখতে সংসার জীবনের ২৩টি বছর অতিবাহিত করলেন তাঁরা।
সানি-মৌসুমী দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। ফারদিন এহসান স্বাধীন ও ফাইজা। ছেলে এরই মধ্যে পরিচালনায় এসেছেন। তরুণ নির্মাতা হিসেবে প্রশংসাও কুঁড়িয়েছেন। হলিউডেও কাজ করেছেন পরিচালকের সহকারী হিসেবে। অন্যদিকে মেয়ে ফাইজা এখনো পড়াশুনাতেই ব্যস্ত।