ধর্ষিতা মেয়ের সাহসী গল্পের কাহিনী নিয়ে ‘ফাতমাগুল’
অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক সাহসী নারীর সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত তুরস্কের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ফাতমাগুল’। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেরেন সাত, এঙ্গিন আকায়ুরেক, মুসা উযুনলার, মুরাত দালতাবান,এঙ্গিন অযতুরক, বুশরা গুলসয়, ফিরাত চেলিক প্রমুখ।
এর কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এচে ইয়োরেঞ্চ ও মেলেক গেঞ্চোগ্লু। পরিচালনা করেছেন হিলাল সারাল। ধারাবাহিক নাটকটি ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের ২১ জুন পর্যন্ত তুরস্কের ক্যানাল ডি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে ।
নাটকটি জনপ্রিয়তা পেলে বিভিন্ন ভাষায় এটি প্রচারিত হয় বিভিন্ন দেশে। এবার বাংলাদেশের দর্শকরাও টিভি পর্দায় নাটকটি দেখতে পাবেন।
আসছে ২ জুন থেকে শনি থেকে শুক্রবার, সপ্তাহে সাত দিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ‘ফাতমাগুল’দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হবে।
‘ফাতমাগুল’ এর গল্পে দেখা যাবে, ‘সাগরের কোল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা ছোট্ট গ্রাম ইল্দির। যেখানে দিগন্ত জোড়া জলরাশির হাতছানিতে সাড়া দেয় দুরন্ত গাঙচিল। তাদের ছন্দে আনমনে গুনগুনিয়ে যায় এই গ্রামেরই মেয়ে ফাতমাগুল। গুল মানে গোলাপ। বাবা মা আদর করে ফুলের নামে নাম রাখলেও মেয়েটির জীবনে আর কোথাও ছিল না ফুলেল কোমলতার ছোঁয়া। সহজ সরল বড় ভাই রাহমি আর কুটিল ভাবি মুকাদ্দেসের সংসারে প্রতিনিয়ত গালমন্দ আর অবহেলা সহ্য করে দিন কাটে ফাতমাগুলের। ওর সান্ত্বনা শুধু একটাই। ছোট্ট বেলার প্রেম মুস্তফা নালচালির ঘরণি হয়ে তারও একদিন একটা সুখের সংসার হবে। কিন্তু হঠাৎ এক ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় ফাতমাগুলের সাজানো স্বপ্ন। উচ্চবিত্ত ইয়াশারান পরিবারের বখাটে ছেলে সেলিম, অ্যারদোয়ান আর তার সঙ্গীদের উম্মাদনায় ফাতমাগুলকে হারাতে হয় তার সম্ভ্রম আর সমাজের তথাকথিত নারীর সম্মান। এ দুর্যোগে কেউ তার পাশে এসে দাঁড়ায়নি! এমনকি ছোট্ট বেলার প্রেম মুস্তফা নালচালিও তাকে ফিরিয়ে দেয়, পুড়িয়ে দেয় স্বপ্নীল সংসারের শেষ চিহ্নটুকু। গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয় অসহায় মেয়েটি। কী ছিল ফাতমাগুলের অপরাধ? তবে কি নারী হয়ে জন্মানোটাই তার অপরাধ? না কি ফাতমাগুল প্রমাণ করে দেখাবে অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক বিচার তার হবেই!’