ট্যাটু দেখে কী বলেছিলেন খুশির মা?
দাগাতে বড্ড ভালোবাসেন তারকাকন্যা খুশি কাপুর। শরীরে এরই মধ্যে এঁকেছেন বেশ কয়েকটি ট্যাটু। নিজের এক জন্মদিনে বুকের বাঁ পাশে ট্যাটু এঁকেছিলেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন খুশির মা প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবী, বাবা প্রযোজক বনি কাপুর ও বোন ‘ধড়ক’ খ্যাত জাহ্নবী কাপুর। সেই স্মৃতিচারণ করলেন খুশি।
গেল বছর সবাইকে কাঁদিয়ে এক দুর্ঘটনায় মারা যান খুশির মা, ‘ভারতের প্রথম নারী সুপারস্টার’ খ্যাত শ্রীদেবী।
অভিনেত্রী-টিভি ব্যক্তিত্ব নেহা ধুপিয়ার জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘নো ফিল্টার নেহা’য় সম্প্রতি অতিথি হয়েছিলেন দুই বোন জাহ্নবী ও খুশি কাপুর। সেখানেই শ্রীদেবীর ছোটকন্যা খুশি বলেন, দুর্ঘটনাবশত তাঁর ট্যাটু দেখে ফেলেছিলেন মা। মায়ের অজান্তেই তিনি ট্যাটু এঁকেছিলেন শরীরে।
‘মা-বাবাকে এই কথা বলিনি। মা দেখে ফেলেছিলেন, কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ছিল। তিনি আমার একটি ছবি দেখেছিলেন। সঙ্গে আমার বন্ধু ছিল, আমি লো-কাট টি-শার্ট পরেছিলাম। তিনি বলেছিলেন (অবাক হয়ে), ‘খুশি! তুমি ট্যাটু এঁকেছ?’ আগে বলিনি তাঁকে। আমি জিজ্ঞেস করি, ‘আরেকটি করব?’ মা বললেন, ‘না, একদম না’,” বলেন খুশি কাপুর।
দুই বোন জাহ্নবী ও খুশি কাপুর। ছবি : সংগৃহীত
খুশির ট্যাটু নিয়ে মা শ্রীদেবী খুব চিন্তিত ছিলেন। ভেবেছিলেন, মনে হয় তাঁর কন্যার কোনো পছন্দের ছেলে এসব করিয়েছে। ট্যাটুতে কোনো ছেলের নাম বা জন্মদিন আঁকা কি না, সেসব নিয়েও দুশ্চিন্তা ছিল শ্রীদেবীর। নিশ্চিত হতে এ সম্পর্কে তিনি বড় মেয়ে জাহ্নবীকেও জিজ্ঞেস করেছিলেন।
ওই শোতেই জাহ্নবী কাপুর বলেন, যখন শ্রীদেবী জানতে পারেন যে ওই ট্যাটুতে পরিবারের সবার জন্মতারিখ লেখা, তখন খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। “কয়েক মুহূর্তের জন্য মা সত্যিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘তুমি কি নিশ্চিত এতে কোনো ছেলের জন্মদিন বা অন্য কিছু আঁকা নেই?’,” বলেন জাহ্নবী।
যা হোক, ট্যাটু নিয়ে অবশ্য এর বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়নি খুশি কাপুরের। ‘আমরা সব সময় এ নিয়ে হাসতাম,’ বলেন এই অষ্টাদশী।
মা ও বোনের মতো খুশিও অভিনয় করতে চান। কিন্তু বলিউডে অভিষেক হতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এরই মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর ভক্ত জুটেছে খুশির। শোনা যাচ্ছে, নির্মাতা-প্রযোজক করণ জোহরের হাত ধরে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখবেন খুশি। তবে সে জন্য ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে