বলিউডের সুন্দরী স্টার কিডস সুহানা খান ও অনন্যা পান্ডের বন্ধুত্বের কথা কে না জানেন। এই জুটি আলাদা হওয়ার নয়। মুম্বাইয়ে সুহানা ফিরলেই দুজনকে লাঞ্চ ডেট, পার্টি, এমনকি একে অন্যের বাসায় যেতে দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

সুপারস্টার শাহরুখ খানের আদুরে কন্যা সুহানা এখন লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। সম্প্রতি তিনি মুম্বাইয়ে নিজের ঘরে ফিরেছেন। আর ফিরেই নিজের সেরা বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। অনন্যা পান্ডে এখন খুব ব্যস্ত। হাতে রয়েছে দুটি সিনেমা। কিন্তু বন্ধুর সঙ্গে মাস্তি না করলে চলে?

সুহানা ও অনন্যার আরেক বন্ধু আছেন, তিনি হলেন শানায়া কাপুর। এই তিন তারকা-সন্তান একসঙ্গে হওয়া মানেই হুল্লোড়। সঞ্জয় কাপুর ও মাহিপ কাপুরের আদুরে কন্যা শানায়া।

 হাসতে হাসতে রাঙা সুহানা। ছবি : সংগৃহীত

গত রাতে শানায়ার বাড়িতে যাওয়ার সময় চিত্রসাংবাদিকদের ক্যামেরায় বন্দি হন সুহানা ও অনন্যা। গাড়িতে বসে ছিলেন তাঁরা। বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন সুহানা। মিডিয়া-লাজুক বলে খ্যাতি আছে শাহরুখকন্যার, তবে এবার তাঁকে হেসেই খুন হতে দেখা গেল! অনন্যার সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় হেসে ওঠেন দুজনই। হাসতে হাসতে রাঙা হয়ে ওঠে সুহানার মুখ।

সুহানা পরেছিলেন ধূসর সোয়েটার ও গাঢ় নীল প্রিন্টেড স্কার্ট। চুল বাঁধা ছিল। আর অনন্যা পরেছিলেন নীলরঙা জার্সি ও জিন্স।

বি-টাউন অনুরাগী মাত্রই জানেন, সুপারস্টার বাবা শাহরুখ খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বড়পর্দায় ঝড় তুলতে চান সুহানা খান। আর এই স্টার কিডকে বরণ করে নিতে অধীর অপেক্ষায় ভক্তকুল। অবশ্য সুহানা এরই মধ্যে এগিয়েছেন অনেক দূর। অভিনয় ও নাচ দুটোই শিখছেন সমানতালে। থিয়েটারে শো-ও করছেন।

 বন্ধু অনন্যা পান্ডের সঙ্গে সুহানা খান। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্জালে শাহরুখ খান ও গৌরী খানের কন্যা সুহানা তুমুল জনপ্রিয়। তাঁর যেকোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশমাত্রই ভাইরাল হয়। রয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্যান ক্লাব।

গত বছর জনপ্রিয় ফ্যাশনবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ভোগ’-এ প্রচ্ছদকন্যা হন সুহানা। এর মধ্যেই গ্ল্যামার জগতে পা রেখেছেন তিনি, বলিউডে তাঁর অভিষেক নিয়ে গুঞ্জন চলছে। যদিও বাবা বলছেন, লেখাপড়া শেষ করে তবেই অভিষেক।

অন্যদিকে, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টু’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হতে চলেছে চাঙ্কি পান্ডের কন্যা অনন্যার। এতে আরো রয়েছেন টাইগার শ্রফ ও নবাগতা তারা সুতারিয়া। এ ছাড়া ‘পতি পত্নী অউর ওহ’ সিনেমায় দেখা যাবে অনন্যাকে। এতে আরো রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান ও ভূমি পেড়নেকার। সূত্র : ডিএনএ