পলাশের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ, যা বললেন নায়িকা সিমলা
দুবাইগামী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ‘ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী’ পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদির (২৪) সঙ্গে সম্পর্ক, বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চল্লিশোর্ধ্ব নায়িকা সিমলা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের প্রায় সাত মাসের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে গত নভেম্বরে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত রোববার দুবাইগামী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ। পরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে তিনি নিহত হন।
পলাশ নিহত হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় চলে আসে নায়িকা সিমলার নাম। কিন্তু দেশের বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর বক্তব্য পায়নি দেশের গণমাধ্যম। অবশেষে ঘটনার একদিন পর গতকাল সোমবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে নিজের চেয়ে প্রায় ২০ বছরের ছোট পলাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ, নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক, বিয়ে, বিবাহিত জীবন আর বিচ্ছেদ নিয়ে অনেকটা খোলামেলাই কথা বলেছেন একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা।
চিত্রপরিচালক রাশেদ পলাশের জন্মদিনে পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদির সঙ্গে পরিচয় হয় জানিয়ে সিমলা বলেন, “আমি ‘নাইওর’ নামে একটি ছবিতে কাজ করেছি। সেটির পরিচালক রাশেদ পলাশ। সেখানে মাহাদির সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। সেদিন রাশেদ পলাশের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। রাশেদ পলাশ পরিচালিত ‘কবর’ নামের একটি শর্টফিল্মের প্রযোজক হিসেবেই পলাশকে চিনতাম।”
‘২০১৮ সালের ৩ মার্চ আমাদের বিয়ে হয়। চার মাস আগে গত ৬ নভেম্বর আমি তাঁকে ডিভোর্স দিয়েছি। কিছু সমস্যা ছিল বলেই ডিভোর্স হয়েছে। তাঁর মানসিক সমস্যাই এর মূল কারণ,’ যোগ করেন সিমলা।
‘বিমান ছ্নিতাইয়ের চেষ্টা করার’ বিষয়টি নিয়ে সিমলা বলেন, ‘সে (পলাশ) যা করেছে, তা অস্বাভাবিক। দেশের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জার। এ জন্য যদি প্রয়োজন হয়, আমি দেশের জন্য যেকোনো কিছু ফেস করতে রাজি।’
পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদির গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে। তিনি ‘অবাধ্য সন্তান’ ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবার প্রথমে তাঁর লাশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়, যদিও পরে স্বজন ও প্রশাসনের চাপে ছেলের লাশ গ্রহণ করেন বাবা পিয়ার সরদার।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পতেঙ্গা থানা থেকে ছেলের লাশ গ্রহণ করেন বাবা পিয়ার সরদার। পরে আজ সকালে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে বিমান ছিনতাই-চেষ্টার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে।