ছেলেকে নিয়েই অর্জুনের সঙ্গে ডেটে মালাইকা
বলিউড তারকা মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরের প্রেমের গুঞ্জন বলিউডে নতুন নয়। প্রায়ই তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাতে হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায়। একসঙ্গে ডিনার পার্টি সারেন হরহামেশাই। এবার মালাইকার ছেলে আরহানও যোগ দিলেন তাঁদের সঙ্গে। ফলে তাঁদের সম্পর্কের জল্পনা আরো জোরালো হলো।
গতকাল রোববার মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁ থেকে বেরোনোর সময় মালাইকা ও অর্জুন যখন ক্যামেরাবন্দি হন, তখন কেউ বিস্মিত হননি। কিন্তু অন্তর্জালে ভক্তরা বিস্মিত হয়েছেন যখন মালাইকার ছেলে আরহানকেও তাঁদের সঙ্গে দেখা গেল। রেস্তোরাঁয় মালাইকা-অর্জুনকে সঙ্গ দেন আরহান।
এই প্রথমবার অর্জুন শুধু তাঁর প্রেয়সীর সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সময় কাটালেন তা নয়, ছিলেন তাঁর ছেলে আরহানও।
মালাইকা পরেছিলেন নীল ডেনিম ও সাদা শার্ট। অর্জুন ক্যাজুয়াল কালো টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরেছিলেন। আর আরহানও সেজেছিলেন কালো পোশাকে।
অর্জুন যদিও বা নিজেকে সিঙ্গেল নন বলে প্রকাশ করেছেন, তবে মালাইকার মুখ একেবারেই কুলুপ আঁটা।
সম্প্রতি নির্মাতা-প্রযোজক করণ জোহর তাঁর সঞ্চালিত ‘কফি উইথ করণ’ শোতে স্বীকার করেন, অর্জুন ও মালাইকার সম্পর্ক রয়েছে। একই শোতে অর্জুন বলেছিলেন, তিনি এখন একা নন।
অবশ্য তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অর্জুনের কাকা অনিল কাপুরও। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অর্জুনকে খুব ভালোভাবে জানি, চিনি। ও যেটাতে খুশি থাকবে সেটা আমি সমর্থন করব। ওর খুশিতেই আমার খুশি। ওর ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। আমরা, পরিবারের লোকেরা ওকে সমর্থন করব। ও খুশি থাকলেই আমরা খুশি।’
তবে মালাইকা বরাবরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন। কিছুদিন আগে সাংবাদিকদের মালাইকা বলেন, ‘ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর কখনো দেই না আমি। এমন নয় যে, সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার লজ্জা হয়। আসলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে আমি স্বচ্ছন্দ নই। শুধু এটা বলতে পারি, জীবনটা উপভোগ করছি।’
২০১৮ সালের ল্যাকমে ফ্যাশন সপ্তাহে প্রথমবার একসঙ্গে হাজির হন অর্জুন কাপুর ও মালাইকা অরোরা, সেই থেকে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন চলছে।
১৯৯৮ সালে অভিনেতা-নির্মাতা আরবাজ খানকে বিয়ে করেন মালাইকা অরোরা। ২০১৭ সালে ভেঙে যায় ১৮ বছরের সংসার। এর পরই অর্জুন কাপুরকে প্রকাশ্যে আনেন ‘ছাইয়া ছাইয়া’ কন্যা মালাইকা।
অর্জুন কাপুরের হাতে এখন বেশ কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে ‘সন্দীপ অর পিংকি ফারার’, ‘ইন্ডিয়াস মোস্ট ওয়ান্টেড’ ও ‘পানিপথ’ উল্লেখযোগ্য। সূত্র : ডিএনএ, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস