গতি থিয়েটার আসছে শিল্পকলায় ‘শিকারী’র সঙ্গে
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ মিলনায়তনে ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে গতি থিয়েটারের নাটক ‘শিকারী’। এটি গতি থিয়েটারের দশম প্রযোজনা। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন আশিক সুমন। অভিনয়ে আছেন মনি পাহাড়ী, উপল সরকার, আশিক সুমন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
‘শিকারী’ একদিকে বন্দিদশা, অন্যদিকে বাধার সব দেয়াল দলিত করে মুক্ত প্রাণের নিজেকে খুঁজে পাওয়ার গল্প। আর এমন গল্পের শুরুটা অনেক কাল আগের। সভ্যতাকে যদি তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়, তাহলে আদিযুগ, মধ্যযুগ আর আধুনিক বা বর্তমানকে পাওয়া যায়। এ নাটক বলে যায়, বর্বরতার শুরুটা ছিল মধ্যযুগে। তেমনি জাগরণের বিপ্লবী বাঁশিটাও বাজত সে সময় থেকেই। একসময় মধ্যযুগের শেষ হলো, কিন্তু বর্বরতার সমাপ্তি ঘটল না সেকালে। মধ্যযুগের পুরুষতান্ত্রিক উর্বর বীজটা এখনো মনের খোলসে সতেজ যেন।
পিছু হটতে হটতে দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায়, পেছনে যাওয়ার আর কোনো পথ নেই, তেমনি একমুহূর্ত থেকে ‘শিকারী’ নাটকের শুরু। জেগে উঠ, নয়তো বিলীন হয়ে যাও!
নাটকে নবাব চরিত্রটি মধ্যযুগের এক প্রতিকৃতি রূপে এসে দাঁড়ায় দর্শকের সামনে। বর্বরতার উর্বর বীজ যার মাথায় ক্রমে বেড়ে উঠছে। তাই তার চারপাশে সে মধ্যযুগীয় জাল বিছিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে ডালিয়া চরিত্রটি মুক্ত মন নিয়ে জেগে উঠতে চাইছে যেন। স্বাধীনতার স্বচ্ছ স্ফটিক দেখতে পায় দর্শক তার চোখে-মুখে। জাগরণের সবুজাভ সুর ছড়িয়ে দিতে দিতে চরিত্রটি প্রস্ফুটিত হয় নাটক এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে। সেখানেই সে অনন্য!
বর্তমান সময়ে নবাবের মতো কেউ আছে কি নেই, তার দ্বন্দ্ব নিয়েই জেগে থাকে নাটকের গল্প। যদি থেকেই থাকে, ‘নবাব’ এ সমাজে তবে বিপ্লবী বাঁশির সুর হয়তো ভেসে আসবে পূবালী আর দখিনা বাতাসে! আর নিজের অজান্তেই একদিন শিকার হয়ে উঠবে ক্ষিপ্র শিকারি!