সামনে নির্বাচন, জমজমাট এফডিসি
বছরের শুরুতেই জমাজমাট এফডিসি চত্বর। তবে কোনো ছবির শুটিংকে কেন্দ্র করে নয়। আগামী ২৫ জানুয়ারি এফডিসি ভিত্তিক পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিকী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন জমজমাট এফসিডি। সকাল থেকেই ভোটারদে সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। আড্ডা চলে এফডিসি ক্যান্টিন, পারিচালক সমিতির পাশের মাঠ, আমতলাসহ বিভিন্ন জায়গায়।
আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দুটি প্যানেল : মুশফিকুর রহমান গুলজার-বদিউল আলম খোকন ও বাদল খন্দকার-বজলুর রাশেদ চৌধুরী। এ ছাড়া মহাসচিব পদে পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। একেক প্যানেলে ১৯ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। মোট ভোটার ৩৬১ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন আবদুল লতিফ বাচ্চু। সহকারী কমিশনার হিসেবে থাকবেন শফিকুর রহমান ও ডি এইচ নিশান।
মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘নির্বাচনটা আসলে আমাদের পরিচালক সমিতির জন্য উৎসবের মতো। অনেকেই এখন কাজ করছেন না। যারা কাজ করছেন তারাও দেশের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরাদের সবারই একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এফডিসি। আমরা যারাই নির্বাচিত হই না কেন, সবাই আমরা চলচ্চিত্র পরিচালক, আমরা এক হয়ে কাজ করব।’
খোকন আরো বলেন, ‘গত দুই বছর আমরা চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাইরের দেশের চলচ্চিত্র যেন আমাদের দেশ দখল করতে না পারে। দেশি চলচ্চিত্র আবারও মাথা তুলে দাঁড়াবে, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চলচ্চিত্রের সব সংগঠন আমাদের পাশে ছিল। আশা করি আগামীতেও আমরা চলচ্চিত্র উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।’
অপর প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী বজলুর রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘চলচ্চিত্রের এখন সর্বত্র পরিবর্তন প্রয়োজন। টেকনোলজি যেমন পরিবর্তন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন পরিচালকদের চিন্তা ভাবনায়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলচ্চিত্রকে যেমন পরিবর্তন হতে হবে, তেমনি আমাদের সমিতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন। যে কারণে আমরা নির্বাচন করছি। সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’
২০১৭-২০১৮ নিবার্চনে গুলজার-খোকন প্যানেল নির্বাচিত হয়ে এখন দায়িত্ব পালন করছে। ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নিবার্চনে বিজয়ীরা ২০১৯-২০২০ সালের জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।