আমি ছবিটি নিয়ে সন্তুষ্ট : শুভ
এফডিসির কড়ইতলা থেকে প্রশাসনিক ভবন হয়ে শিল্পী সমিতিতে হেঁটে যাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক গাড়ি আটকে আছে, সবাই হর্ন দিচ্ছে। কিছুদূর এগিয়ে গেলে দেখা যায়, দুই ক্যামেরায় চলছে শুটিং। ‘জ্যাম’ ছবির শুটিংয়ের প্রয়োজনেই ভাড়া করে গাড়ি এনে এই যানজট তৈরি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার এই ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন আরিফিন শুভ ও পূর্ণিমা। ছবির শুটিং নিয়ে সন্তুষ্ট নায়ক শুভ। দর্শক ছবিটি গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
‘জ্যাম’ নিয়ে শুভ বলেন, ‘আমি ছবিটি নিয়ে সন্তুষ্ট। কারণ, এই ছবিতে সবাই সবার জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে। গল্পের প্রয়োজনে সব ধরনের সাপোর্ট দিচ্ছেন ছবির প্রযোজক। আমার লুকটা একেবারেই নতুন, এর আগে দর্শক আমাকে এই লুকে দেখেননি। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, ছবিটি ভালো কিছু হচ্ছে। দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন।’
এফডিসিতে রাস্তা, মার্কেট, রেললাইনের সেট নির্মাণ করা হয়েছে। আবার একই শুটিং বাইরের রাস্তায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শুভ বলেন, ‘আসলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ততটা বড় নয়, যে কারণে আমাদের ছবির বাজেটও সীমিত। যে কারণে এখানে আমরা ছোট রাস্তা নির্মাণ করে শুটিং করছি। বড় ইন্ডাস্ট্রি হলে বাজেট বেশি হতো, হয়তো আমরা বড় রাস্তা নির্মাণ করতে পারতাম। এখন ট্রেন অ্যাকসিডেন্টের শুটিং ক্রোমায় শুট না করে সেট নির্মাণ করে করা হতো। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। তারপরও সবার সহযোগিতায় অনেক কঠিন কাজটিও আমরা সহজে করতে পারছি।’
ছবিটি প্রযোজনা করছে নায়ক মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘কৃতাঞ্জলী কথাচিত্র’। দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয় হয়েছে এই শুটিংয়ের মাধ্যমে। মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না এখন এই প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেছেন। ‘জ্যাম’ শিরোনামে ছবিটির গল্প লিখেছেন প্রয়াত সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। আর ছবিটি পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।
এফ আই মানিক ১০ বছর আগে নির্মাণ করেছিলেন চলচ্চিত্র ‘পিতা মাতার আমানত’। সেটাই ছিল ‘কৃতাঞ্জলী কথাচিত্র’ থেকে প্রযোজিত শেষ চলচ্চিত্র। মান্নার মৃত্যুর পর নতুন কোনো ছবি নির্মাণ হয়নি এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে। এবারই মান্নার স্ত্রী নতুন করে আবার ছবি তৈরির কাজ শুরু করলেন।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে এর আগে নির্মাণ করা হয়েছে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’ ও ‘পিতা মাতার আমানত’।