৪৫তম জন্মদিন : জেনে নিন অজানা হৃতিককে
নিঃসন্দেহে বলিউডের অন্যতম সুদর্শন পুরুষ ও মেধাবী অভিনেতা হৃতিক রোশন। বি-টাউনের এই গ্রিক দেবতা হিন্দি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ব্যতিক্রমী নাচ দেখিয়ে ঝড় তোলেন। আর তাঁর অভিনয়দক্ষতায় মুগ্ধ হন অগণিত চলচ্চিত্রপ্রেমিক।
‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন হৃতিক রোশন। এর পর আর তাঁকে থামতে হয়নি। এখন তিনি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম তারকা। আজ বৃহস্পতিবার এই অভিনেতা উদযাপন করছেন তাঁর ৪৫তম জন্মদিন।
সিনেমায় চরিত্রের বৈচিত্র্য আর নাচের কারণে বিখ্যাত হৃতিক রোশন। ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের অন্যতম তিনি। আয় ও জনপ্রিয়তার বিচারে জনপ্রিয় ফোর্বস সাময়িকীর সেরা ১০০-এর তালিকায় ছিলেন এই অভিনেতা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।
হৃতিকের আসল পদবি রোশন নয়, নাগরথ।
মুম্বাইয়ের বোম্বে-স্কটিশ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন হৃতিক রোশন। এই বিদ্যালয়ে পড়েছেন বলিউডের অনেক তারকা—আমির খান, জন আব্রাহাম, রণবীর কাপুর, অভিষেক বচ্চন, আদিত্য চোপড়া ও একতা কাপুর।
‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ হৃতিকের প্রথম ছবি। এ ছবির জন্য তিনি পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার ‘বেস্ট মেল ডেব্যু’ ও ‘বেস্ট অ্যাক্টর’ পুরস্কার।
শৈশব থেকেই নাচের প্রতি ঝোঁক হৃতিকের। ছবি : সংগৃহীত
চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরই এই অভিনেতা প্রথম একটি ঘড়ি উপহার পান, যেটা নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিলেন তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা সুসান খান। যা হোক, পরে তাঁদের বিয়ে হয়। দুই সন্তানও আছে তাঁদের ঘরে। তবে ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাগজ-কলমে বিচ্ছেদ হলেও এখনো তাঁদের সুসম্পর্ক রয়েছে। সুসানের বাবার আশা, ফের বিয়ে করবেন তাঁরা।
হৃতিক রোশনের ডাকনাম ‘দুগ্গু’। এই নাম রেখেছিলেন তাঁর দাদি। আর হৃতিকের বাবা রাকেশকে তিনি ডাকতেন ‘গুড্ডু’ নামে। দুগ্গু কী, অনবরত গুড্ডু বলতে থাকলে একসময় সে উচ্চারণ দুগ্গু হয়ে যাবে!
শৈশবে তোতলা ছিলেন হৃতিক রোশন। তবে বাকশিক্ষা নেন তিনি। আর এখন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। বলিউডের পঞ্চম তারকা হিসেবে লন্ডনের বিখ্যাত মাদাম তুসো জাদুঘরে তাঁর মোমের মূর্তি স্থান পায়।
একসময় তুখোড় ধূমপায়ী ছিলেন হৃতিক রোশন। মজার ব্যাপার হলো, ‘হাউ টু স্টপ স্মোকিং’ শিরোনামের একটি বই পড়ে ধূমপান ছেড়ে দেন তিনি।
হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশন বলিউডের নির্মাতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। সিনেমায় ঢোকার আগে বাবাকে সহায়তা করতেন তিনি। ওই সময় চা দেওয়া থেকে শুরু করে মেঝে ঝাড়ু পর্যন্ত হেন কাজ নেই, করেননি হৃতিক।
মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি স্কোলিওসিস রোগে আক্রান্ত হন। তখন বলা হয়েছিল, তিনি আর কখানোই নাচতে পারবেন না। তবে সেই রোগমুক্তি হয়েছে তাঁর আর পরে হয়ে ওঠেন বি-টাউনের অন্যতম নৃত্যশিল্পী।
বলিউডের অগণিত ভ্ক্ত ও অনুরাগী জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন হৃতিক রোশনকে। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের বন্ধুরাও। সূত্র : ডিএনএ