‘অভিনন্দন, কিন্তু প্রাণীর জন্য দিনটি সুখের ছিল না!’
সদ্যই শেষ হলো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসের রাজকীয় বিয়ে। শনিবার রাতে খ্রিস্টান মতে চার হাত এক করেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। গতকাল সনাতন ধর্মমতে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এ তারকা যুগল। তবে বিয়েতে প্রাণী ব্যবহার করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের প্রাণী নিপীড়নবিরোধী সংগঠন পেটা (পিপল ফর দ্য ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস)।
প্রিয়াঙ্কা ও নিকের বিয়ে হয় রাজস্থানের যোধপুরের উমেদ ভবন প্রাসাদে। বিয়ের আয়োজনে হাতি ও ঘোড়া ব্যবহার করা হয়েছিল। আর সে কারণেই প্রতিবাদ জানিয়েছে পেটা।
পেটার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রিয় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস, হাতি ও ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণের জন্য শেকল, চাবুকের ব্যবহার হয়। হাতি ও ঘোড়ার ব্যবহার মানুষ এখন প্রত্যাখ্যান করছে। আপনাদের অভিনন্দন, কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলছি, প্রাণীদের জন্য দিনটি সুখকর ছিল না।’
এ ছাড়া চার বছর আগের একটি ভিডিও শেয়ার দিয়েছে পেটা। প্রাণীদের কষ্টের বর্ণনা করে ওই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। ভিডিওটির শিরোনাম ‘ক্যাপটিভ এলিফ্যান্টস ইন জয়পুর’। ২০১৪ সালে পেটা এটি তৈরি করে।
এ ব্যাপারে অবশ্য এখনো প্রিয়াঙ্কা-নিকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
৫ বছর বয়স থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। গত দীপাবলি উৎসবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ‘আতসবাজি নয়’ এমন প্রচারাভিযান চালিয়েছিলেন। এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, ‘আতশবাজিমুক্ত হোক এই দীপাবলি। এটা আলোর উৎসব, আনন্দের উৎসব।’
কিন্তু সেই প্রিয়াঙ্কাই নিজের বিয়েতে উল্টো পথে হেঁটেছেন। ধুমধাম করে আতশবাজি পুড়িয়ে বিয়ে করেছেন। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন তিনি। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, ‘প্রচার পেতে তারকারা এমন মন্তব্য করে থাকেন, কিন্তু নিজেদের অনুষ্ঠানে সেসব ভুলে যান।’ সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস