‘আমার ছেলে আমার সুপারহিরো’
বিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে শিক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। চার দেয়ালের ভেতর বসেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু শিক্ষার প্রকৃত অর্থ বিদ্যায়তনিক শিক্ষার সীমানা ছাড়িয়ে। এর অর্থ আরো গভীর।
শিক্ষা ব্যাপারটি ব্যবহারিক; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ভারতীয় উপমহাদেশে ‘শিক্ষা’ শব্দটি এখনো তত্ত্বগত রয়ে গেছে। ক্লাসরুম-সিলেবাসের বাইরের শিক্ষার দিকেই নজর দিচ্ছেন বলিউড তারকা ইমরান হাশমি।
গতকাল রোববার ছিল ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস। শিক্ষা খাতের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে নির্মিত ‘চিট ইন্ডিয়া’ ছবিটি আগামী বছরের শুরুতে মুক্তি পাবে। তাঁর ছবিটি নিয়ে এক আলাপচারিতায় জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি বলেছেন, শিক্ষাই মানবজাতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালক।
ইমরান হাশমি ও তাঁর ছেলে আয়ান। ছবি : সংগৃহীত
ইমরান তাঁর আট বছরের ছেলে আয়ান হাশমিকে প্রথাগত শিক্ষার বাইরের দিকটা দেখাতে চান। চার বছর আগে তাঁর সন্তানকে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। সে যুদ্ধে জিতেছেন দুজনই। ইমরান চান, শিক্ষা যেন তাঁর ছেলের ভেতর ‘বিশ্লেষণ ক্ষমতা’ তৈরি করে। ‘সংকট সমাধানের সামর্থ্য’ তৈরি করে।
ছেলে আয়ান বাবা ইমরান হাশমিকে কী শিক্ষা দিয়েছে?
‘আমার ছেলে আমার সুপারহিরো। জীবন তাকে ঝড়ের মুখে ফেলেছে এবং সে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আমাকে এমন এক জায়গায় ছুড়ে ফেলা হয়েছিল, যা কখনোই কল্পনা করতে পারিনি। সেখান থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। আমার অল্প বয়সেই আয়ানের বেড়ে ওঠা দেখলাম। মাঝেমধ্যে সে এমন কিছু বলে, যা পঞ্চাশ বছরের কোনো ব্যক্তির কাছ থেকেও শুনিনি,’ বলেন ইমরান।
ভারতে শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য ও প্রতারণার চিত্র উঠে আসবে ‘চিট ইন্ডিয়া’ চলচ্চিত্রে। ‘আশিক বানায়া আপনে’ অভিনেতা ইমরান হাশমি বলেন, তিনিও স্কুল ও কলেজে পড়াশোনার সময় প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতিদিনই ‘প্রতারণার সৃজনশীল উপায়’ প্রকাশিত হচ্ছে।
‘চিট ইন্ডিয়া’ ছবির পোস্টার। ছবি : সংগৃহীত
কয়েক বছর আগে বিহারের একটি ঘটনার বর্ণনা দেন ইমরান। বলেন, ‘কে ভুলেছে সেই ঘটনা, যখন পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্র দিতে দেয়াল টপকে ভেতরে গিয়েছিল মরিয়া মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা? প্রকৃত সত্য হলো, ভারতে শিক্ষাটা এখন মহাবাণিজ্যে রূপ নিয়েছে।’
শিক্ষা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করেন ইমরান হাশমি। সূত্র : মুম্বাই মিরর।