ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে ‘বোল্ড’ দৃশ্যে রাকুল
ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ও মডেল রাকুল প্রীত সিং ক্যারিয়ারে পেয়েছেন ব্যর্থতার স্বাদ। এরপর একটু একটু করে উঠছেন সাফল্যের চূড়ায়। এবার তিনি বিকিনি পরে ‘বোল্ড’ দৃশ্যে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাকুলের ‘স্পাইডার’ ছবিটি সাফল্যের মুখ দেখেনি। সেদিকে না তাকিয়ে মন দিয়েছিলেন পরের ছবিতে। ব্যর্থতার ছোঁয়া পেলেও তা নিয়ে কখনো গা করেননি তিনি। পরের প্রকল্প ‘থিরান অথিগারাম ওনদ্রু’ ছবিতেই সাফল্য আসে তাঁর। এখন তিনি বলিউডের ‘দে দে পেয়ার দে’ ছবিতে কাজ করছেন।
তবে এখনো সেরা সময়টি আসেনি রাকুল প্রীতের। চলতি বছরে তাঁর অভিনীত ‘আইয়ারি’ ছবিটি সুপার ফ্লপ হয়। এবার তিনি নতুন ছবি দিয়ে চমক লাগাতে চান। বলিউডের একটি শীর্ষ পোর্টাল বলছে, সম্প্রতি একটি দৃশ্যের শুটিং করেছেন রাকুল।
‘ওয়াও’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে রাকুল। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
সেই দৃশ্যে বিকিনি পরিহিত রাকুলকে দেখা যাবে। দুই টুকরো কাপড় পরিহিত ওই দৃশ্যের শুট হয়েছে মুম্বাইয়ের একটি সাততারকা হোটেলে। কোনো দ্বিধা ছাড়াই রাকুল বিকিনি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। রাকুলের পরবর্তী ছবি ‘দেব’।
অভিনেত্রী রাকুল প্রীত মনে করেন, প্রত্যেকের জীবনেই উত্থান-পতন আসে আর সেটা গুরুত্বপূর্ণও। বলেন, সাফল্যের চেয়েও ব্যর্থতা অনেক বেশি শিক্ষা দেয়।
গণমাধ্যমকর্মীদের রাকুল বলেন, ‘জীবনে সাফল্যের চেয়েও ব্যর্থতা অনেক বেশি শিক্ষা দেয়। কারণ যদি তুমি ব্যর্থতার মুখোমুখি না হও, তবে কখনোই সাফল্যের মূল্য দিতে শিখবে না, সাফল্যের স্বাদ কী তা কখনো টেরই পাবে না।’
‘উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঠিক তখনই তুমি তোমার কাজটাকে সিরিয়াসলি নেবে, তোমার যা আছে তার সবটুকুর জন্যই কৃতজ্ঞ থাকবে। ঠিক যেমন ছোট থেকে আমরা শুনে আসছি—ব্যর্থতাই সাফল্যের চাবিকাঠি। ব্যর্থতা ছাড়া কোনো সাফল্যেরই উত্তেজনা নেই,’ বলেন রাকুল প্রীত।
ফিটনেস সচেতন রাকুল। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
তেলেগু ও হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন রাকুল প্রীত। বলিউডে তিনি ‘ইয়ারিয়ান’ ও ‘আইয়ারি’ ছবিতে কাজ করেছেন—দুটোই বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এসকেপ-এক্স’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তিনি নিজের একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেছেন, যার মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হবেন রাকুল।
অ্যাপ প্রসঙ্গে রাকুল বলেন, ‘আইডিয়াটি আমাকে মূল কোম্পানি এসকেপেক্স দিয়েছিল। তারাই আমাকে জানায় ও পুরো ধারণাটি দেয়। সত্যি বলছি, প্রথমে একটু ইতস্তত করেছিলাম।’
‘ভেবেছিলাম, নিজের একটি অ্যাপ থাকাটা কেমন যেন। পরে বুঝলাম, এটা ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের অনন্য মাধ্যম হয়ে উঠবে। সব সময় বিশ্বাস করি, ভক্তরাই আমাকে তৈরি করতে পারে। আমাদের উচিত তাদের সংস্পর্শে আসা’, বলেন এ অনন্যসুন্দরী। সূত্র : আজ কি খবর।