আফজাল আমার ভালো বন্ধু : সুবর্ণা
আশির দশকের ছোট পর্দার জনপ্রিয় জুটি ছিলেন আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফা। ১৯৭৬ সালে ঢাকা থিয়েটারে একসঙ্গে যোগ দেন তাঁরা দুজন। তাঁদের সঙ্গে আরো ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। থিয়েটার করতে এসে পরিচয় হয় আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফার। এর পর ১৯৭৬ সালেই দুজন একসঙ্গে একটি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটির নাম ছিল ‘চেহারা’। আনিস চৌধুরীর রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেন আতিকুল হক চৌধুরী। বিটিভিতে নাটকটি প্রচারের পর ব্যাপক সাড়া পান আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফা। এর পর নির্মাতারা তাঁদের দুজনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার কথা ভাবতে শুরু করেন। সেই থেকে শুরু। এখনো এই জুটি চিরনবীন। মাঝখানে দীর্ঘ ১২ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেননি।
২০১২ সালে আরিফ খান পরিচালিত ‘প্রেম বাঁচিতে জানে’ নাটকের মাধ্যমে এক যুগ পর তাঁরা আবারো একসঙ্গে অভিনয়ে ফেরেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁদের এই খবর বড় করে প্রকাশ করা হয়। এর পর দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০১৪ সালে আরিফ খানের পরিচালনায় ‘ইংরেজি শিক্ষার আসর’ শিরোনামে আরো একটি নাটকে অভিনয় করেন আফজাল-সুবর্ণা। আর এ বছরে একই পরিচালকের আরো দুটি নাটকে অভিনয় করেন কিংবদন্তিতুল্য এ দুই অভিনয়শিল্পী। ‘তবুও আমারে দেবো না ভুলিতে’ নাটকটি গত ঈদে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হয়।
এবার ঈদের দ্বিতীয় দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এনটিভিতে আফজাল-সুর্বণা অভিনীত টেলিফিল্ম ‘আমার বেলা যে যায়’ প্রচারিত হবে। টেলিফিল্মটি লিখেছেন বদরুল আনাম সৌদ। টেলিফিল্মটির শুটিংয়ের সেটে কথা হয় এ দুই শিল্পীর সঙ্গে। তাঁরা পরস্পরের সম্পর্কে কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
এখন তো নিয়মিত কাজ করছেন। তাহলে মাঝে এক যুগ কেন বিরতি নিয়েছিলেন আপনারা? প্রশ্ন শুনে আফজাল হোসেন একটু ভেবে বললেন, ‘আমার কিন্তু কখনই মনে হয়নি, আমরা বিরতিতে ছিলাম। সব সময় মনে হয়েছে, কাজ তো হচ্ছে। এখনো তাই মনে হয়।’
এখন কাজ করতে কেমন লাগছে? উত্তরে আফজাল হোসেন বলেন, ‘অনেক ভালো। আমরা দুজন অনেক ভালো বন্ধু। কাজের অবসরে সবাই একসঙ্গে গল্প করি। এটা অনেক আনন্দ দেয়। আমার কাছে সময়ের কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে না। সুবর্ণা আর আমি যখন কাজ করি তখন মনে হয়, আমরা তো নিয়মিত কাজই করছি। আর এক বছর, তিন বছর বিরতি এসব কোনো বিষয় নয়।’
সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘আফজাল আমার অনেক ভালো বন্ধু। একসঙ্গে আমরা আবারো পর্দায় কাজ করছি। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দর্শক আমাদের আবারো পর্দায় দেখছেন। ভালোই লাগছে।’
আশির দশকে জনপ্রিয় এই জুটি এখনো রঙিন। পরস্পর তাঁরা ভালো বন্ধু এবং তাঁদের কাজের বোঝাপড়াও আগের মতো চমৎকার। এখনো দুজন দুজনকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন করেন।
চিরতরুণ এই জুটি এখনো প্রাণবন্ত। তাই তাঁদের দেখে কে বলবেন, ‘তাঁরা বিরতিতে ছিলেন?’