নানা-তনুশ্রীর পাল্টাপাল্টি হুমকি!
গত সপ্তাহে ‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেছেন, ১০ বছর আগে শুটিং সেটে নানা পাটেকার তাঁকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি ছবির দুনিয়া থেকে দূরে সরে যান।
তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে নানা বলেছেন, তনুশ্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং অবশ্যই তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
নানা বলেন, ‘তনুশ্রীর সব অভিযোগ মিথ্যা। সে কেন এসব বলছে, আমি কীভাবে বলব? সে এসব বললে আমি কী করতে পারি? যৌন নিপীড়ন বলতে সে কী বোঝে? শুটিং সেটে আমার সঙ্গে ৫০ থেকে ১০০ জন মানুষ ছিল।’
গতকাল নানা পাটেকারের আইনজীবী রাজেন্দ্র শিকড়কার বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ ও অসত্য বলার জন্য তনুশ্রী দত্তকে আইনি নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমরা তাঁকে দ্রুতই নোটিশটি পাঠাব, যেন তিনি তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান।’
তবে কোনো আইনি নোটিশ পাননি জানিয়ে তনুশ্রী দত্ত নানার উদ্দেশ্যে বলেছেন, তিনি যেন ফাঁকা হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
আজ শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তনুশ্রী দত্ত বলেছেন, নানার আইনজীবীর কাছ থেকে কোনো নোটিশ পাননি। এছাড়া কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
‘ফাঁকা হুমকি না দিয়ে আমাকে আইনি নোটিশ পাঠাক। তখন দেখবে আমি কী করি!’, বলেন তনুশ্রী।
তনুশ্রী আইনজীবীদের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘যখন একজন ভিকটিম মুখ খুলল, তখন দুই সেকেন্ডের খ্যাতির জন্য নৈতিকভাবে দেউলিয়া আইনজীবী ও উকিলরা সিরিয়াল নিপীড়নকারীর পক্ষে এগিয়ে আসছে।’
নানা পাটেকারের সাহায্যকারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দেন তনুশ্রী দত্ত।
তনুশ্রীকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে, ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ ছবিতে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নানা পাটেকার তাঁর সঙ্গে এমন কাণ্ড করে বসেছিলেন যে তিনি গানের শুটিং ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ গানের শুটিং চলাকলে নানা তাঁকে নিপীড়ন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নারী নিপীড়নের আরো ইতিহাস আছে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার।
তনুশ্রীর অভিযোগের পরই বলিউডে ঝড় ওঠে। অনেকে বলেছেন, নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও সংস্কৃতি গড়ে তোলা দরকার। তবে নানা পাটেকার তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাঁর পক্ষে।