‘সুপারস্টারের মেয়ে না হলে কাজ পাওয়া মুশকিল’
প্রখ্যাত ইরানিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদি তাঁর ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’ ছবিতে বেছে নিয়েছিলেন মালয়ালাম অভিনেত্রী মালবিকা মোহাননকে। নামকরা নির্মাতার ছবিতে কাজ করেই খ্যাতির মুখ দেখেন মালবিকা।
২০১৩ সালে ‘পত্তম পোল’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ তাঁর। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নির্ণায়ক’ ও ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য গ্রেট ফাদার’ ছবি দিয়ে আরো আলোচনায় আসেন তিনি।
তাঁর বাবা কে ইউ মোহাননকে হয়তো অনেকে চেনেন না। তবে সিনেজগতে তিনি একজন সুপরিচিত সিনেমাটোগ্রাফার, যিনি বলিউড ছবিতেও কাজ করেছেন। ২০০৬ সালে ‘ডন’ ও পরের বছর ‘আজা নাচলে’ ছবিতে কাজ করেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বাবার যোগাযোগই কি চলচ্চিত্রে ভালো অফার পেতে সাহায্য করেছে? মালবিকা বলেন, ‘এটা একদমই করেনি। একমাত্র তখনই তা কাজে লাগে, যদি কেউ তারকাসন্তান হয়। মানুষ বড় নারী সুপারস্টারের মেয়েকে দেখতে চায়, বড় পুরুষ সুপারস্টারের মেয়েকে দেখতে চায়। এই ধারণাই সর্বত্র, এ কারণেই মানুষের এত কৌতূহল, আর তা তাদের মা-বাবার কারণে।’
তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের ১৫ দিন আগে মাজিদি স্যার এটাও জানতেন না যে আমার বাবা এ ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করে। এক সংলাপে তিনি বলেন, তাঁর কোনো ধারণাই ছিল না। তাই, এটা এমন না যে সব পেয়েছি।’
এশিয়া স্পা পুরস্কার-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী মালবিকা মোহানন। ছবি : সংগৃহীত
অভিনয়জীবনের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে মালবিকার। পেছনে তাকিয়ে কী মনে হয়, অভিনয় করতে চেয়েছিলেন? ‘আমি এতটা সক্রিয় ছিলাম না, কিন্তু আমার প্রথম ছবির অফার আসে মালয়ালি কিংবদন্তি অভিনেতা দালকুয়ের সালমানের বিপরীতে। তখন আমি কলেজের শেষ বর্ষে পড়ি। তাই আমি ছবি করি’, বলেন তিনি।
তবে লোকে যেমনটা ভাবে, মালবিকার এ যাত্রা এত সহজ ছিল না। ‘প্রথম ছবির পরে আমি আরো দুটো মালয়ালাম ছবি করি এবং তখনই উপলব্ধি হয় যে, আমি অভিনয় করব। আমি কাজ শুরু করলাম। তখন ভাবলাম যদি আমি ছবি করি, তবে আমি হিন্দি ছবিও করব।’
‘কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের কাছেই হিন্দি ছবি করা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যায়। এটা একটা প্রক্রিয়া, তোমাকে অডিশন দিতে হবে এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। তোমাকে একদম সঠিক স্থানে সঠিক সময়টাতে যেতে হবে’, ব্যাখ্যা করেন তিনি।
হিরো হোন্ডাসহ বেশ কয়েকটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিজ্ঞাপনও করেছেন মুম্বাইয়ে বেড়ে ওঠা এ অভিনেত্রী।