‘রাজনীতি করলে বিয়ে করব না, বাচ্চাও নেব না’
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত কি রাজনীতিতে আসছেন? এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। যেদিন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসা করেছিলেন, সেদিন থেকেই এ আলোচনা বলিউডপাড়ায়। এবার ওই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কঙ্গনা। বলেছেন, রাজনীতি মানে দেশসেবা। যদি তিনি রাজনীতি করেন, তবে বিয়ে করবেন না। এমনকি বাচ্চাও নেবেন না।
এ তারকার হাতে এখন অনেকগুলো ছবি। রাজনীতিতে যুক্ত হলে তিনি কি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন?
অনলাইন মিড ডের সঙ্গে কঙ্গনার সাক্ষাৎকার স্পষ্ট করে, তিনি রাজনীতিবিমুখ না। ‘আমি সম্প্রতি মণিমর্নিকা চরিত্রের ঘোরে আছি। মাথা খারাপ নাকি, পাঙ্গা ছবির ঘোষণা দিলাম মাত্র। যখন আমি রাজনীতি করব বলে সিদ্ধান্ত নেব, তখন মর্যাদার সঙ্গে মনপ্রাণ ঢেলেই করব।’
কঙ্গনা বলেন, ‘তিনি এমন মানুষ নন যে চাহিদা থাকলে রাজনীতিকে না বলবেন। যদি আমাকে দেশসেবক হতেই হয়, আমার কোনো পরিবার বা বাচ্চাকাচ্চা থাকবে না। বিকল্প পেশাও থাকবে না। একজন রাজনীতিক সরকারি সেবক ছাড়া আর কিছুই নন।’
এর আগে ‘রানি’ কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘যদি দেশ বিপদের মুখোমুখি হয়, তবে আমাদের সৈন্যরা আছে, যারা নিজেদের জীবন দিতে প্রস্তুত। যদি আমাদের দেশের প্রয়োজন হয়, আমিও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করব, রাজনীতিতে যোগ দেবো।’
গত শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছিলেন কঙ্গনা। তাঁকে ‘গণতন্ত্রের ধর্মসম্মত নেতা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কঙ্গনা ‘চলো জিত হ্যায়’ শর্টফিল্মে অভিনয় করেছিলেন, যেটি মোদির প্রথম জীবনের গল্প দ্বারা অনুপ্রাণিত।
ওই সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘ছবিটি সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে, চরম সংকটেও কী সংবেদনশীল শিশু ছিলেন মোদি। কিন্তু আমি মনে করি, এই ছবিটি তাঁকে নিয়ে নয়। এটা আমাদের গল্প—কীভাবে সমাজের মানুষকে জাগাতে হয়, একত্রিত করতে হয়। ছবিটি তাঁর জীবনের ছোট্ট অংশ মাত্র।’
কঙ্গনা রানাউত বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের একজন। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। চারবার পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেরা ১০০ তারকার তালিকায় তিনি পাঁচবার স্থান পেয়েছিলেন।
হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট শহর ভামব্লায় জন্মগ্রহণ করেন ২৯ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী। ১৬ বছর বয়সে শুরু করেন মডেলিং। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর।