এবারও ব্যর্থ ঐশ্বরিয়া রায়!
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সাবেক বিশ্বসুন্দরী, বলিউড নায়িকা ঐশ্বরিয়া রায় অভিনীত ‘ফ্যানি খান’। এই চলচ্চিত্রটিও দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে পরিচালক ওমাং কুমারের ‘সর্বজিৎ’ ও সঞ্জয় গুপ্তের ‘জজবা’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেগুলোও সাফল্যের মুখ দেখেনি।
গত ৩ আগস্ট মুক্তি পায় ‘ফ্যানি খান’। বক্স অফিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম সপ্তাহে ছবিটি সর্বসাকুল্যে আয় করেছে সাড়ে নয় কোটি রুপি, যেখানে ঈশান খট্টর ও জাহ্নবী কাপুরের অভিষেক-ছবি ‘ধড়ক’ প্রথম তিন দিনে আয় করেছে ১০৬ কোটি রুপি।
ছয় বছর আগে ঐশ্বরিয়াকন্যা আরাধ্য-এর জন্মের পর চারটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী। কিন্তু কোনোটিই ব্যবসাসফল হয়নি বলে জানিয়েছে মাসালা ডটকম।
মাতৃত্ব থেকে ফেরার পর সঞ্চয় গুপ্তের ‘জজবা’ ছবিতে ঐশ্বরিয়া একক মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি ছিল অপহৃত কন্যা উদ্ধারে মায়ের সংগ্রামের কাহিনী। ছবিটি ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়। এরপর ওমাং কুমারের ‘সর্বজিৎ’, ‘দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিও তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। সর্বশেষ বলিউডের নতুন সেনসেশন রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে ‘ফ্যানি খান’ ছবিটিও দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।
শীর্ষ এক সিনেব্যবসা বিশ্লেষক বলেছেন, ‘ঐশ্বরিয়ার ফেরার পর আর কোনো ছবিই সফল হচ্ছে না। হতে পারে এটা তাঁর চরিত্র নির্বাচনের ভুল। ফ্যানি খানে সহ-অভিনেতা হিসেবে রাজকুমার রাওকে দর্শক গ্রহণ করেনি।’
‘ফ্যানি খান’ মূলত মিউজিক্যাল কমেডি ধাঁচের সিনেমা। এতে গায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নতুন বলিউড সেনসেশন রাজকুমার রাও। ছবিতে অনিল কাপুর অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়ার বাবার চরিত্রে। ক্রিআর্জ এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে টি-সিরিজ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অতুল মাঞ্জরেকার।
তবে কিছুদিন আগে ‘ফ্যানি খান’ ছবিটি দেখেন অভিষেক বচ্চন এবং প্রশংসাও করেন। টুইটারে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কী সুন্দর ছবি! এ ছাড়া ছবিটি ভালো বার্তা বহন করে বলেও জানান তিনি। ছবির পুরো টিমকেও তিনি ধন্যবাদ দেন।
ঐশ্বরিয়া এখন তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতে চাইছেন। তিনি আশা করছেন, অনুরাগ কাশ্যপের গুলাব জামুন ছবিটি দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণে সমর্থ হবে।
কিছুদিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিড ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া রায় বলেছিলেন, ‘এবি (অভিষেক) ও আমি গুলাব জামুন ছবিতে কাজ করতে আগ্রহী। তাঁকে বলেছি, এখনই তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার যে মনমর্জিয়ার পর সে কী করতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য অসাধারণ আর আমরা চরিত্রের জন্যও সম্পূর্ণ ফিট।’
গত আট বছর একই সিনেমায় জুটি বাঁধেননি অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। প্রায় দেড় বছর ধরে প্রযোজক ও পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ এই জুটিকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন ‘গুলাব জামুন’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এর আগে ঐশ্বরিয়া একবার ‘না’ও করে দিয়েছিলেন। হিন্দি ‘গুলাব জামুন’-এর বাংলা ‘কালোজাম’। ফ্যান্টম ফিল্মসের ব্যানারে ছবিটির পরিচালক সর্বেশ মেওয়ারা।
ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক দম্পতি আর নতুন কোনো ছবিতে কাজ করবেন কি না, এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বহু দিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল। এ জুটির শেষ মুভি ‘রাবণ’, যেটি ২০১০ সালে মুক্তি পায়। ভক্তরা মুখিয়ে ছিলেন নতুন কোনো ছবিতে বাস্তবের এ দম্পতিকে দেখতে। ‘গুলাব জামুন’ দর্শকের মন জয় করতে পারে কি না, সেজন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।