‘ল্যাবরেটরি’ নিয়ে তারিন-তিশার দ্বন্দ্ব
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘ল্যাবরেটরি’। নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। পরিচালনা করেছেন হাসান রেজাউল।
নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিন জাহান, আজাদ আবুল কালাম, ইরফান সাজ্জাদ ও তাসনুভা তিশা। এ ছাড়া নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, আবদুর রহিম, হাসিমুন, পাভেল জামান প্রমুখ।
নাটকটিতে সোহিনী চরিত্রে তারিন, মন্মথ চরিত্রে আজাদ আবুল কালাম, রেবতী চরিত্রে ইরফান সাজ্জাদ ও নীলা চরিত্রে তাসনুভা তিশা অভিনয় করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে আগামী ৬ আগস্ট রাত ৯টা ৫ মিনিটে এনটিভিতে নাটকটি প্রচারিত হবে।
নাটকটি সম্পর্কে হাসান রেজাউল বলেন, “খুব ভালো লাগার একটা কাজ করেছি। আশা করছি, ‘ল্যাবরেটরি’ নাটকটি দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করবেন।”
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, নন্দকিশোর বাবু ব্যবসায়ী মানুষ হলেও নিজ আগ্রহে গড়ে তোলেন একটি ল্যাবরেটরি। তার সব ধ্যানজ্ঞান এই ল্যাবরেটরিকে ঘিরে। পাঞ্জাবে ব্যবসায়িক কাজে গিয়ে পরিচয় হয় সোহিনী নামের এক তরুণীর সঙ্গে। পরিচয় থেকে ভালো লাগা এবং বিয়ে করে নিয়ে আসেন নিজ বাসভবনে। তাদের একটি মেয়ের জন্ম হয়, নাম নীলা।
কিছুদিন পর নন্দবাবু আচমকা মারা যায়। ল্যাবরেটরির সব দায়িত্ব এসে পরে সোহিনীর কাঁধে। নীলা বড় হয়ে কিছুটা বেপরোয়া জীবন ধারণ করলেও মায়ের তা পছন্দ না। মা কিছুতেই ল্যাবরেটরির কোনো ক্ষতি হতে দেবে না। তার ইচ্ছা, এখানে কাজ করে অনেক ছেলেমেয়ে দেশ-বিদেশে নাম করুক, কিন্তু নিজের মেয়ে সেটা চাচ্ছে না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নীলার বেপরোয়া জীবন দেখে সোহিনী তার স্বামীর গড়া ল্যাবরেটরির জন্য একজন ভালো ছেলে খোঁজে। যে ল্যাবরেটরিকে আপন মনে করে আগলে রাখবে। বিজ্ঞানের অধ্যাপক মন্মথ চৌধুরী সোহিনীর খুব ভালো বন্ধু। তিনি রেবতী ভট্টাচার্য নামে তাঁর প্রিয় ছাত্রের খোঁজ দেয়। সোহিনী তার সঙ্গে দেখা করে ল্যাবরেটরির বিষয় জানায় এবং তাকে দায়িত্ব অর্পণ করে।
রেবতী মনোযাগ দিয়ে কাজ করতে থাকে। নানা রকম যন্ত্রপাতির মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখে সব সময়। এদিকে নীলা তার বন্ধুসম বঙ্কু বাবুকে নিয়ে ফন্দি আঁটে কীভাবে ল্যাবরেটরির ফান্ড নিজের করে নেওয়া যায়। প্রথমেই রেবতীকে ভালোবাসার জালে আবদ্ধ করে। একদিন সোহিনী তার আহমার অসুস্থতার কথা শুনে আম্বালা বেড়াতে যায়। এতে খুশি হয় নীলা। যদিও সোহিনী নীলাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে; কিন্তু সে কিছুতেই যায় না।
মা চলে যাওয়ার পরে রেবতীকে ভালোবাসার মায়ায় ফেলে তাদের সংগঠন জাগানী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট করে। এ উপলক্ষে রেবতী একটি ভোজসভার আয়োজন করে। সেখানে এসে হঠাৎ উপস্থিত হয় সোহিনী। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।