বলিউডে অভিনেতাসর্বস্ব ছবির যুগে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে নারীকেন্দ্রিক ছবি। হলিউড যেখানে ‘ওয়ান্ডার ওমেন’-এর মতো নারীকেন্দ্রিক ছবি নির্মাণ করে কোটি কোটি ডলার কামাচ্ছে সেখানে বলিউড আয়ের খাতাই খুলতে পারেনি।  তবে খুশির খবর হলো নারী চরিত্র প্রধান চলচ্চিত্র হিসেবে আলিয়া ভাট অভিনীত ‘রাজি’ ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে। এর আগে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ‘তানু ওয়েডস মানু রিটার্নস’ ছবিটির আয় প্রথমবারের মতো ১০০ কোটি ছাড়িয়েছিল।

এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, নিজের ছবি বলে নয় বরং নারীভিত্তিক ছবির জয়জয়কার দেখে বেজায় খুশি এই বলিউড তারকা। পিটিআইকে দেওয়া সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে ‘রাজি’ ছবির সাফল্য নিয়ে আলিয়া ভাট বলেন, ‘অপ্রচলিত কোনো জিনিস মাঝেমধ্যে প্রচলিত ও বাণিজ্যিক হয়ে ওঠে যদি এটি মানুষেকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে। তাই কোথাও না কোথাও মানুষকে যুক্ত করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। আমি আশা করেছিলাম এই ছবিটি সেটা পারবে এবং ছবিটা পেরেছে দেখে আমি খুশি। অভিনেত্রী হিসেবে আমার ছবি নির্বাচনের পছন্দের প্রতি বিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছে ছবিটি।’

ছবিটি সম্পর্কে আলিয়া আরো বলেন, ‘আমি কখনই শুটিংয়ের সময় কোনো ছবি নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না, কিন্তু মুক্তির ঠিক আগে ছবিটির পরিণতি নিয়ে দুশ্চিন্তা আটকে রাখতে পারি না। তাই শেষমেশ সব ছবিকে নিয়েই আমাকে চিন্তিত হতে হয় এবং আমার এই অভ্যাস পরিবর্তন হওয়ার নয়।’

সত্য কাহিনী নিয়ে লেখা উপন্যাস কলিং সেহমাত অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ১৯৭১ সালে সেহমাত নামের একজন ভারতীয় নারী বিয়ে করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে। সে সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত। তখন সাধারণ মেয়ে সেহমাত হয়ে ওঠেন অসাধারণ। স্বামীর কাছ থেকে গোপনে সংগ্রহ করা তথ্য তিনি সরবরাহ করতে থাকেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। আর এই সেহমাতের চরিত্রে অভিনয় করছেন আলিয়া ভাট। ছবিতে পাকিস্তানি কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিকি কুশাল। পরিচালনা করেছেন মেঘনা গুলজার। প্রযোজনায় ছিলেন ভিনেত জেইন, করণ জোহর, অপূর্ব মেহতা, হিরু যশ জোহর।