‘মাহি আপু ব্যস্তশিল্পী, আমিও ব্যস্ত মেকাপম্যান’
‘এখন আর আগের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না। যে কারণে আমাদের মতো টেকনিশিয়ানদের কাজ কমে গেছে। এখন নতুন করে কেউ যদি মেকাপম্যান হিসেবে কাজ করতে চায় তাহলে জীবন চালাতে পারবে না। চলচ্চিত্র কমে যাওয়া ছাড়া আরো দুটি কারণ আছে। একটি কারণ হচ্ছে যে, পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন উনার নিজের পছন্দের কিছু টেকনিশিয়ান আছে যাদের নিয়ে তিনি কাজ করেন। আরেকটি বড় কারণ শিল্পীরা যারা নিয়মিত কাজ করেন তারা নিজের মেকাপম্যান ব্যবহার করেন। ইউনিটের মেকাপম্যান দিয়ে তারা মেকাপ করান না। আমি মাহি আপুর সাথে কাজ করছি, তিনি এখনকার সময়ে ব্যস্ত শিল্পী, সেই হিসেবে আমিও ব্যস্ত মেকাপম্যান।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলছিলেন মেকাপম্যান মোহাম্মদ জাবেদ।
চলচ্চিত্রে কীভাবে যুক্ত হলেন জানতে চাইলে জাবেদ বলেন, ‘আরকে মিশন রোডে আমি বড় হয়েছি। স্কুল শেষ করেই আসলে আমি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করি। নায়ক জসিম ভাইয়ের মেকাপম্যান ছিলেন আব্দুর রহমান সাহেব, উনার সাথে আমি সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করি ১৯৮৭ সালের দিকে। তারপর ‘মাস্তান রাজা’ ছবিতে আমি এককভাবে মেকাপম্যান হিসেবে কাজ শুরু করি। তারপর ওয়াকিল আহম্মেদ, মনতাজুর রহমান আকবর স্যারের মতো পরিচালকের সাথে একের পর এক ছবিতে কাজ শুরু করি।’
মাহির সাথে যুক্ত হলেন কীভাবে জানতে চাইলে জাবেদ বলেন, ‘২০১২ সালে চলচ্চিত্র শুরু করেন মাহি আপু। উনার প্রথম ছবি ‘ভালোবাসার রং’ ছবিতে আমার কাজ করা হয়নি। পরের বছর তিনি দ্বিতীয় ছবি করেন ‘অন্যরকম ভালোবাসা’। সেই ছবিতে আমি মেকাপম্যান হিসেবে কাজ শুরু করি। তারপর জাজ মাল্টিমিডিয়ার বেশ কয়েকটি ছবিতে আমি মাহি আপুর সাথে কাজ করেছি। তখন থেকেই আপুর সাথে আমার সুন্দর একটা সম্পর্ক হয়। এক সময় আপু জাজ থেকে বের হয়ে আসেন এবং নিজের মতো কাজ করতে শুরু করেন। আর আমি আপুর সাথে পার্মানেন্টভাবে কাজ শুরু করি। এখনো আপুর সাথেই কাজ করছি।’
নতুন মেকাপম্যানদের উদ্দেশে জাবেদ বলেন, ‘আসলে আমরা যখন কাজ শুরু করেছি তখন ওস্তাদের হাত ধরে কাজ করেছি। তখন কোথাও মেকাপের ওপর শিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল কি না আমি বলতে পারব না। কিন্তু এখন যদি কেউ কাজ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই কাজ শিখে আসতে হবে এবং তা ভালো মতো। একটা সময় ছিল যখন আমাদের শুধু বাংলাদেশেই শুটিং করতে হতো। আমরা আমাদের মতো কাজ করতাম। তারপর কলকাতার সাথে আমাদের শিল্পীদের যাওয়া আসা শুরু হলো, এখন বিশ্বের অনেক জায়গাতেই শুটিং হয় এবং আমাদের সব দেশের মেকাপম্যানের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হয়।’